বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘ পাঁচ মাস পর অবশেষে আরজি কর কান্ডের (RG Kar Case) রায় ঘোষণা করেছে কলকাতার শিয়ালদা আদালত। তরুণী চিকিৎসকের নির্মম ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কেই এদিন দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। সোমবার এই মামলায় তার সাজা ঘোষণা করা হবে। বিচারক অনির্বাণ দাস জানিয়েছেন সঞ্জয় রায়ের সর্বনিম্ন দশ বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের সাজা হতে পারে।
আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) দোষী সাব্যস্ত ছেলে
গতকাল রায় ঘোষণা হওয়ার পর নানা মহল থেকেই আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া। আরজিকর কাণ্ডে (RG Kar Case) সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন তার দিদি। আর এবার এই ঘটনায় মুখ খুললেন খোদ সঞ্জয় রায়ের মা-ও। সঞ্জয় তার সর্বকনিষ্ঠ সন্তান। এছাড়াও তিনি তিন কন্যা সন্তানের মা। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে কয়েক বছর আগেই। তাই আরজিকরের তিলোত্তমার মায়ের যন্ত্রণাটা এদিন যেন তিনিও ভাগ করে নিতে চাইলেন।
গতকাল সঞ্জয়ের রায় ঘোষণা হওয়ার পর এবার সোমবার তার কি শাস্তি হয় সেদিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ! রবিবারেই সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছিলেন সঞ্জয়ের মা। তার ছেলে খুনি এবং ধর্ষক জানার পর সংবাদমাধ্যমে তিনি বললেন, ‘যদি আদালত ফাঁসির সাজা দেয় তাহলে আমার কোন আপত্তি নেই। যেহেতু আইনের চোখে ও অপরাধী। আমি একা কাঁদবো। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস হিসাবে মেনে নেব।’
আরও পড়ুন: পোয়া বারো রাজ্যের কৃষকদের! শস্যবিমা নিয়ে বিরাট নির্দেশ কৃষিমন্ত্রীর
অন্যদিকে আরজিকর কাণ্ডের (RG Kar Case) শুরু থেকেই সিবিআই-এর তদন্ত নিয়ে একেবারেই খুশী নন তিলোত্তমার পরিবার। তার পরেও শনিবার যখন সিবিআইয়ের দেওয়া নথির উপর ভিত্তি করেই আদালত সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করল, তখন আর নিজেদের আবেগ সামলে রাখতে পারেননি তিলোত্তমার বাবা। একেবারে ধরা গলায় বিচারকের সামনেই বলে ফেললেন, ‘আপনার উপর আস্থা রেখেছিলাম। বিচারের প্রথম সিঁড়ি পেরতে পারব বলে মনে হয়েছিল। তার পূর্ণ মর্যাদা রেখেছেন, আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।’
এরপর আদালতের বাইরে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বললেন, ‘দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আমরা বিচারব্যবস্থার প্রতি কৃতজ্ঞ। মেয়েকে তো আর ফিরে পাব না। তাই চাই, দোষী সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ শাস্তি হোক। বিচারক জানিয়েছেন, মৃত্যুদণ্ড সর্বোচ্চ শাস্তি। আমরা মৃত্যুদণ্ড চাই।’