বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শাস্তি হলেও ফাঁসি হল না আরজি করের (RG Kar Case) ধর্ষণ-খুনের মামলায় দোষী সঞ্জয় রায়ের। গত ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ১৬৪ দিন পর অবশেষে তার সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারকে দোষী সাব্যস্ত করার পর আজ শিয়ালদা আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে।
আরজি কর (RG Kar Case) কাণ্ডে সঞ্জয়ের শাস্তি শুনে কী বললেন তার মা?
আজ আরজি কর (RG Kar Case) মামলার রায় ঘোষণা হওয়ার পর কি প্রতিক্রিয়া সঞ্জয়ের মায়ের? তা জানতেই আজ সকাল থেকে ৫৫বি, শম্ভুনাথ পণ্ডিত স্ট্রিটে ভিড় জমিয়েছিলেন সাংবাদিকরা। কিন্তু সকাল থেকেই নিরুত্তাপ ছিলেন তিনি। বাড়ির দরজা খোলেননি সঞ্জয়ের মা। বাইরে থেকে ছেলের শাস্তির কথা জানানো হলেও একবারের জন্য দরজা খোলেনি তিনি।
সঞ্জয়ের পাড়ার লোকেরা অনেকেই চাইছিলেন না বিচারক তাকে মৃত্যুদন্ড দিক। প্রতিবেশীদের দাবি তদন্তে অনেক ফাঁক রয়েছে। তাই শাস্তি ঘোষণার পর সঞ্জয় প্রাণে বেঁচে যাওয়ায় তারা খুশি। ছোট থেকে যারা সঞ্জয়কে দেখেছেন তাদের দাবি এই কাজ তার দ্বারা সম্ভব নয়। প্রতিবেশীদের একাংশের দাবি কখনও কোন মহিলার সাথে নাকি সঞ্জয় কোন খারাপ আচরণ করেনি।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন সঞ্জয়ের মা মানসিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ নন। মাঝেমধ্যেই তিনি অসংলগ্ন কথা বলেন। আরজিকর কান্ডের (RG Kar Case) পর থেকে সঞ্জয়ের মা ওই বাড়িতে একাই থাকেন। সঞ্জয় তার সর্বকনিষ্ঠ সন্তান। এছাড়াও তিনি তিন কন্যা সন্তানের মা। আরজিকর মামলায় শনিবার বিচারক সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘CBI ব্যর্থ!’ RG Kar কাণ্ডে সঞ্জয়ের ফাঁসি না হওয়ায় রেগে লাল দেবাংশু, স্পষ্ট জানালেন…
আজ সাজা ঘোষণার দিন ছিল। আদালতে সোমবার বিকেলে বিচারক অনির্বাণ দাস জানিয়েছেন ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪, ৬৬ এবং ১০৩(১) তিনটি ধারাতেই সঞ্জয়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। তাকে আমৃত্যু জেলেই থাকতে হবে। তবে বিচারক এই ঘটনাকে বিরল থেকে বিরলতম বলে মনে করছেন না বলেই জানিয়েছেন। সেই কারণেই দোষী সঞ্জয় রায় কে ফাঁসির শাস্তি দেওয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত শনিবার আদালতে বিচারক সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করার পর তার মা বলেছিলেন, ‘যদি আদালত ফাঁসির সাজা দেয় তাহলে আমার কোন আপত্তি নেই। যেহেতু আইনের চোখে ও অপরাধী। আমি একা কাঁদবো। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস হিসাবে মেনে নেব।’