বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূলের (All India Trinamool Congress) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক হলেন কংগ্রেস নেতা তথা বিশিষ্ট সাংবাদিক সমন্বয় বন্দ্যোপাধ্যায় (SANMOY BANERJEE)। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও প্রকাশ করে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটালেন তিনি। ভিডিওর প্রথমেই তিনি বলেন যাচ্ছেই তৃণমূল, কীভাবে যাচ্ছে কবে যাচ্ছে সেটা নিয়ে ব্যাখ্যা করব। এরপর তিনি মমতা ব্যানার্জীর একটি মন্তব্যকে উল্লেখ করে তৃণমূল সরকারকে জোরালো আক্রমণ করেন।
তিনি বলেন, নবান্নের সভাঘর থেকে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে, রাজ্যের ১৫ কোটি বাড়িতে আশা কর্মীরা মানুষের স্বাস্থ্যের খবর নেওয়ার জন্য গেছেন। তিনি পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, এক একটি বাড়ির সদস্য যদি ৪ জন করে হয়, তাহলে কি পশ্চিমবঙ্গে ৬০ কোটি বাসিন্দা আছে? তিনি সংবাদমাধ্যমকে কটাক্ষ করে বলেন, কোন একজন সাংবাদিকও সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করল না যে, এত জনসংখ্যা হল কি করে? এমনকি তিনি বাংলার সংবাদ মাধ্যমের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
এরপর তিনি বলেন, এই মুহূর্তে বাংলা যা পরিস্থিতি এরাজ্যে আর এক ঘণ্টাও তৃণমূল ক্ষমতায় থাকার কথা না। এরপর তিনি সংবাদ মাধ্যমের সমীক্ষার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, সংবাদ মাধ্যম গুলো জানিয়েছে যে, এই মুহূর্তে যদি ভোট হয় তাহলে তৃণমূল ১৫৫ থেকে ১৬১ টি আসন পেতে চলেছে। উনি বলেন এরপর আমরা ১৩ জন অভিজ্ঞ সাংবাদিক যারা গ্রাউন্ড জিরোতে কাজ করেছে বিশেষ করে নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের পর যারা সমস্ত রকম রিপোর্ট করে তাদের ফোন করলাম। আর তাঁরা প্রায় প্রত্যকেই বলছেন যে এই মুহূর্তে বাংলায় ভোট হলে তৃণমূল ভরাডুবি নিশ্চিত। তিনি বলেন, তাঁরা সবথেকে কম তৃণমূলকে আসন দিয়েছেন ৪৫ টি এবং সর্বাধিক ৭০ টি।
তিনি বলেন এদের মধ্যে একজন প্রবীণ সাংবাদিক যিনি আনন্দবাজারে এর আগে কাজ করেছেন, তিনি পরিস্কার বলেছেন যে ২০০ থেকে ২০৫ টি আসনে বিজেপি চোখ বুজে জিতে যাবে। সমন্বয় বাবু বলেন, ওই সাংবাদিক বলেছেন উমফুন এবং করোনা নিয়ে যেরকম বাজে ভাবে পরিস্থিতি হ্যান্ডেল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী, এমনকি করোনা নিয়ে যেভাবে দিনের পর দিন মিথ্যে বলে গেছেন। আর উমফুন নিয়েও দিনের পর দিন মিথ্যে বলা, টাকা লুঠ আর বিদ্যুত পরিষেবা ব্যাহত হয়ে থাকা। যেভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, গরীব মানুষের হাতে টাকা নেই, সেইজন্য মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে তৃণমূলের উপর।
তিনি বলেন, কংগ্রেস এবং বামপন্থীদের অবস্থা ভালো না রাজ্যে। এটাই বাস্তব এটা স্বীকার করতে হবে। কারণ কংগ্রেস এবং বামপন্থীদের দরকার ছিল দীর্ঘকালীন জোট করা কিন্তু তাঁরা এটা করতে ব্যর্থ। তিনি বলেন, একদিকে কংগ্রেস চিটফান্ড নিয়ে আদালতে মামলা করছে আবার এই কংগ্রেসই চিটফান্ড থেকে বাঁচাতে তৃণমূলের সহায়তা করছে আদালতে। আর এটা মানুষ ভালো ভাবে নিচ্ছে না। আরেকদিকে কংগ্রেসের একটি মুখের দরকার, সেটা নেই। এরপর তিনি কংগ্রেসের প্রাক্তন এবং বর্তমান সভাপতিকেও তুলোধোনা করেন। উনি বলেন, কংগ্রেসের সারদার বিরুদ্ধে মামলা করবেন, আরেকদিকে দিল্লীর কংগ্রেস নেতারা আদালতে তৃণমূলের হয়ে লড়বে এটা মানা যাবে না। সোনিয়া গান্ধী আর রাহুল গান্ধীকে এই নিয়ে কথা বলতে হবে।