বাংলাহান্ট ডেস্ক : কথায় আছে, অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ! তার জ্বলন্ত প্রমাণ পাওয়া গেল কেরলের কোলামের এক ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনা থেকে। জানা গিয়েছে, এক চোর ৩০ লক্ষ টাকার সোনার গয়না এবং নগদ চার লক্ষ টাকা লুট করল ঠিকই, কিন্তু তার আগে এক দেবতার মূর্তি বসিয়ে ব্যাঙ্কের লকারের সামনে পুজো-আর্চাও করল!
পুলিশ সূত্রে খবর, পর দিন সকালে ব্যাঙ্ককর্মীরা দেখেন লকার ভাঙা। সোনা এবং নগদ উধাও। তাঁরা আরও একটি বিষয়ে আশ্চর্য হয়ে যান। ব্যাঙ্ককর্মীরা দেখেন, লকারের সামনে থালায় সাজানো প্রদীপ, ফুল, মদ এবং সুপারি। তার ঠিক সামনেই রাখা একটি মূর্তি। এ ছাড়াও একটি লেবু এবং তাতে একটি সুচ গাঁথা ছিল।
জানা গিয়েছে, পাঠানাপুরমের জনতা জংশনে অবস্থিত ব্যাঙ্ক পাঠানাপুরম ব্যাঙ্কার্সেই লুট হয়েছে। চুরির বিষয়টি প্রথম নজরে আসে যখন ব্যাঙ্কের মালিক রামচন্দ্রন নায়ার সোমবার সকাল ৯টায় ব্যাঙ্কে পৌঁছান। তিনি তার পুলিশ অভিযোগে দাবি করেছেন যে দুটি লকারে রাখা 100টি স্বর্ণ মুদ্রা ও নগদ টাকা হারিয়ে গেছে।
ব্যাঙ্ককর্মীরা পুলিশ খবর দেন। পুলিশ এসে ওই জিনিসগুলি উদ্ধার করে। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ব্যাঙ্কের ভিতর থেকে পুজোর সামগ্রী ছাড়াও চুলের গোছা পাওয়া গিয়েছে। এর পাশাপাশি একটি কাগজের টুকরোও মিলেছে পুলিশের হাতে। সেই কাগজের টুকরোয় লেখা রয়েছে, “আমি ভয়ঙ্কর, আমাকে অনুসরণ করার চেষ্টাও করবেন না।” যদিও গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে জোরকদমে। ইতিমধ্যেই, তদন্তে গতি আনার জন্য পুলিশ কুকুর নিয়ে গিয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকায়।
এমন ঘটনার কথা শুনেই ব্যাঙ্কের বাইরে লাইন দিয়েছেন আতঙ্কিত গ্রাহকরা। জনৈক গ্রাহকের কথায়, “এখানে আমাদের অনেকের অ্যাকাউন্ট আছে। একাধিক অ্যাকাউন্ট আছে। ব্যবসা সংক্রান্ত অ্যাকাউন্টগুলি নিয়ে আমরা বেশি চিন্তিত। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এখনও আমাদের বিস্তারিত কিছু জানায়নি।”