সংস্কৃতি ভাষাকে সমস্ত স্কুলে আবশ্যক করল উত্তরাখন্ড সরকার!

ইংরেজরা আসার আগে ভারতের সর্বত্রই সংস্কৃতি ভাষার প্রসার ছিল। ইংরেজরা ভারতের রাজনীতিতে প্রবেশ করে ভারতীয় গুরুকুল শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে ফেলতে শুরু করে। আসলে ইংরেজরা বুঝতে পেরেছিল ভারতীয়দের গোলাম করতে হলে ভারতীয়দের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে ফেলতে হবে। সেই অনুযায়ী ভারতীয়দের মিথ্যা শিক্ষা ও মিথ্যা ইতিহাস পড়ানোর কাজ শুরু হয়। যা আজও চলছে, উদাহরনসরূপ ভারতীয়দের পড়ানো হয় ভারতে নাকি সতীদাহ প্রথা ছিল! আসলে ভারতে সতীদাহ বলে কোনো প্রথা ছিল না, যেটা ছিল সেটা হল সতী প্রথা। কিন্তু ভারতীয়দের শেখানো হয় যে তাদের পুর্বপুরুষ এতটাই মূর্খ ছিল যে বিধবা নারীদের পুড়িয়ে দিত। যদিও আসলে এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। ভারতে “সতী প্রথা” ছিল, সতীদাহ নয় এবং এখনও কোল ভিল মুন্ডাদের মধ্যে এই প্রথা রয়েছে। আধুনিক ইতিহাসবিদরাও এটা স্বীকার করেছেন।

 

IMG 20191015 WA0024

একইভাবে ভারতে ইংরেজি ভাষাকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং দেশীয় ভাষাগুলির প্ৰভাব কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ইংরেজরা নিয়ম করেছিল যারা ইংরাজি শিখবে তারা আগে চাকরি পাবে। লজ্জাজনক ভাবে আজও ওই নিয়ম রয়েছে। আজও ভারতের বাংলা, তামিল, হিন্দির মতো উন্নত ভাষা অনুন্নত ইংরাজি ভাষার প্রভাবের সামনে ছোটো হয়ে আছে। ইংরেজরারা ভারত থেকে সংস্কৃতি ভাষাকে বিলুপ্ত করার জন্য কাজ করেছিল। তবে ভারতের একটা রাজ্য এখন সংস্কৃতি ভাষার ব্যবহারকে গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে। উত্তরাখন্ড সরকার সংস্কৃতি ভাষাকে রাজ্যের সরকারি ভাষা আগেই করে দিয়েছে।

 

এবার উত্তরাখণ্ড সরকার ৩ য় থেকে অষ্টম শ্রেণির সকল সরকারী ও বেসরকারী বিদ্যালয়ে সংস্কৃত ভাষা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী অরবিন্দ পান্ডে বলেন, “সংস্কৃত আমাদের প্রাচীন ও দেব ভাষা। আমাদের অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে যে এই ভাষা আমাদের সংস্কৃতিকে পরিমাপের বাইরেও সমৃদ্ধ করেছে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের এই ভাষার জ্ঞান থাকা উচিত। ” রাজ্য পরিচালিত সমস্ত বিদ্যালয়ে এই সিদ্ধান্তটি কঠোরভাবে প্রয়োগের জন্য রাজ্য শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। রাজ্য শিক্ষা বিভাগের আধিকারিকরা বলেন যে সংস্কৃত পাঠ্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য শিগগিরই গাইডলাইন দেওয়া হবে।

 

প্রসঙ্গত জানিয়ে দি, ইংরাজি ভারতের জন্য একটা বিদেশী ভাষা। এই ইংরেজি ভাষার কারণে অনেক ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে প্রতিভাশীল ছেলে মেয়ে তাদের প্রতিভা প্রকাশ করতে পারে না। কারণ উঁচু শ্রেণীতে উঠলেই ইংরেজিতে পড়াশোনা আরম্ভ হয়েছে। অন্যদিকে ইংরেজি একটা অনুন্নত ভাষা। সেদিক দিয়ে ভারতের বাংলা, তামিল ইত্যাদি ব্যাপক উন্নত ও বৈজ্ঞানসম্মত ভাষা যা ভারতের ঋষি মুনিদের দ্বারা তৈরি।


সম্পর্কিত খবর