বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শুক্রবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির (ED) কাছে গ্রেফতার হয়েছেন হুগলীর তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) যুব নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় (Santanu Banerjee)। তারপর থেকেই নিয়োগ দুর্নীতিতে টাকা লেনদেনের নানা খবর সামনে উঠে আসে। এবার চাকরি-বিক্রিতে (Job Corruption) দলীয় যোগ রয়েছে বলে জেরায় স্বীকার করেছেন শান্তনু। এমনটাই বিস্ফোরক দাবি করল ইডি।
কী জানা যাচ্ছে? ইডি সূত্রে খবর, জেরায় শান্তনু স্বীকার করেছেন, চাকরিপ্রার্থী ছাড়াও অনেক তৃণমূল সদস্য চাকরি পেতে নিজেদের নথি তৃণমল নেতাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। তবে কোন কোন নেতাদের কাছে সেসব নথি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, সেই বিষয়ে এখনও কিছু বললেননি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তাকে জেরা করে সেই নেতাদের নামের নাগাল পেতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে ইডি-র তদন্তকারীরা।
সংশ্লিষ্ট সংস্থার দাবি, শান্তনুকে ধাপে ধাপে মোট ৭০-৮০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন ধৃত আরেক যুবনেতা কুন্তল ঘোষ। যার সবটাই হয়েছিল নগদে। তবে কুন্তল তাকে কোনও টাকা দেননি বলে দাবি শান্তনুর। অন্যদিকে, এখনও পর্যন্ত শান্তনু ও তার পরিবারের ২০টি সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। বিপুল এই সম্পত্তি কেনার টাকা এল কোথা থেকে? কী তার উৎস! ইডির জেরায় এইসকল প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি শান্তনু। এখানেই তদন্তকারীদের অনুমান, কুন্তলের দেওয়া টাকাতেই সেইসব সম্পত্তি কেনা হয়েছিল।
অন্যদিকে, এই শান্তনু চাকরিপ্রার্থীদের চাকরির জন্য সরাসরি তৎকালীন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর কাছে সুপারিশ করতেন বলে দাবি ইডির। যুবনেতার বাড়ি থেকে মোট ৩১২ জন চাকরিপ্রার্থীর তালিকা উদ্ধার করেছে ইডি। যার মধ্যে প্রায় ২০ জনের চাকরির ব্যবস্থা শান্তনু করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তার বাড়িতে মেলা বেশ কিছু অ্যাডমিট কার্ডের প্রতিলিপি মিলেছে মানিকের বাড়িতে।
ইডি সূত্রে দাবি, চাকরি পিছু চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা প্রার্থীদের কাছ থেকে নিতেন শান্তনু। উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত নগদ ও সোনাদানা মিলিয়ে মোট ১১১ কোটি টাকা উদ্ধার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। এই তালিকা আর কতটা লম্বা হবে সেটাই এবার দেখার বিষয়।