বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ড নিয়ে প্রকাশ্যে নিজের মতামত জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন (Santanu Sen)। যে কারণে দলের মুখপাত্রের পদ হারাতে হয়েছে তাঁকে। এবার তাঁর স্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার ২ নং ওয়ার্ডের জোড়াফুল কাউন্সিলর কাকলি সেনকে নিয়ে বড় নির্দেশ দেওয়া হল। শান্তনু মুখপাত্রের পদ হারাতে না হারাতেই তাঁর স্ত্রীকে কেএমসির তৃণমূলের হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে খবর।
শান্তনু-পত্নীকে (Santanu Sen) নিয়ে কড়া নির্দেশ তৃণমূলের!
প্রত্যেকবার ভোটের পর নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের নিয়ে একটি গ্রুপ তৈরি করা হয়। সেই গ্রুপে পুরসভার নানান নির্দেশ, কাজকর্মের তথ্য দেওয়া হয়। এবার এই গ্রুপ থেকেই বের করে দেওয়া হল কাকলিকে। একুশের পুর ভোটে কেএমসিরর ২ নং ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন শান্তনু-জায়া। এরপর থেকে এই গ্রুপের সদস্য ছিলেন। তবে আরজি কর কাণ্ডের উত্তাল পরিস্থিতির মাঝেই তাঁকে সেখান থেকে বের করে দেওয়া হল।
কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation) সূত্রে জানা যাচ্ছে, তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের ‘নির্দেশে’ শুক্রবার কাকলিকে কলকাতা পুরসভার ওই হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এরপর মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে টেলিফোনিক কথোপকথন হয় কাকলির। যদিও দু’জনের মধ্যে কী কথা হয়েছে সেটা জানা যায়নি।
আরও পড়ুনঃ ‘জানতাম আপনি ভালো মানুষ, কিন্তু…’! আরজি কর কাণ্ড নিয়ে একি বললেন জিৎ! তোলপাড়
উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডে প্রকাশ্যে শান্তনুর বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। ওই ঘটনার পর রাজ্যে নারী সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। শান্তনু-কাকলির (Kakali Sen) একমাত্র কন্যা সৌমিলী আরজি করের ছাত্রী। সেখানে মেয়ের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন দু’জনে। সেই সঙ্গেই ১৪ আগস্ট নারীদের ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে মেয়েকে নিয়ে শামিল হয়েছিলেন শান্তনু-পত্নী। এরপরেই তাঁকে কলকাতা পুরসভার হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বের করে দেওয়া হল। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের কাছে কাকলি বলেন, ‘এই বিষয়ে আমি কোনও কথা বলতে চাই না’।
আরজি কর কাণ্ডে সর্বসমক্ষে নিজের মতামত জানানোর পর তৃণমূলের মুখপাত্রের পদ থেকে সরানো হয়েছে শান্তনুকে (Santanu Sen)। তৃণমূল ভবনে তাঁর প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে খবর। এই মুহূর্তে কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শদাতা পদে রয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ। সেই পদ থেকে তাঁকে সরানোটাও স্রেফ সময়ের অপেক্ষা হয়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।