বাংলা হান্ট ডেস্ক: রাজধানী শহর কলকাতায় (Kolkata) প্রবেশের ক্ষেত্রে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হল সাঁতরাগাছি ব্রিজ (Santragachi Bridge)। কিন্তু, বর্তমানে সেই ব্রিজেরই কলকাতা অভিমুখী লেনে চলছে এক্সপ্যানশন জয়েন্ট বদলের পালা। জানা গিয়েছে, মোট ২১ টি এক্সপ্যানশন জয়েন্ট সংস্কারের কাজ আপাতত চলছে। সেই কারণে দিনের বেলায় সাঁতরাগাছি ব্রিজের একদিকের লেন দিয়ে দুই দিকের বাস ও হালকা ছোট গাড়ি চলাচল করছে। তবে, রাত ১১ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত অবশ্য ব্রিজটিকে সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হচ্ছে। এদিকে, ব্রিজটির একদিকের লেন বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। এমনকি, বেড়েছে যানজটও।
এমতাবস্থায়, প্রথমে জানানো হয়েছিল যে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে এই ব্রিজ। তবে, এবার সাঁতরাগাছি হয়ে কলকাতায় যাতায়াত করা যাত্রীদের জন্য পাওয়া গেল দারুণ সুখবর। জানা গিয়েছে, সমস্ত কিছু পরিকল্পনামাফিক এগোলে আসন্ন বড়দিনের আগেই খুলে দেওয়া যেতে পারে এই ব্রিজকে। এদিকে, এমনিতেই বড়দিনের ছুটিতে কলকাতা এবং তার আশপাশের এলাকায় বেড়াতে আসেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। এমতাবস্থায়, এই ব্রিজ খুলে দেওয়া হলে যাতায়াতের ক্ষেত্রেও বাড়তি সুবিধা মিলবে।
এদিকে, এখনও পর্যন্ত ব্রিজে সম্পন্ন হওয়া কাজের অগ্রগতি বেশ সন্তোষজনক বলে দাবি করেছেন পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা। কর্মরত শ্রমিক এবং ইঞ্জিনিয়াররা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজটি সামলাচ্ছেন। এমতাবস্থায়, অনুমান করা হচ্ছে বড়দিনের মধ্যেই নির্ধারিত কাজ শেষ হয়ে যাবে সাঁতরাগাছি ব্রিজে। তারপর প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষার পরই পুরোদমে যান চলাচলের অনুমতি মিলবে।
যদিও, এই ব্রিজ সংস্কারের কারণে বর্তমানে ভারি গাড়িসহ সমস্ত পণ্যবাহী গাড়িগুলির গতিপথকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেকারণে গাড়ির অত্যধিক চাপ বেড়েছে হাওড়া শহরের মধ্যে দিয়ে যাওয়া আমতা রোড, আন্দুল রোড, ও বেনারস রোডে। শুধু তাই নয়, এই ব্রিজে সংস্কারের কাজ চলার কারণে আপাতত কলকাতার যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে বিদ্যাসাগর সেতু।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, বিদ্যাসাগর সেতু ছাড়াও রবীন্দ্র সেতু, বিবেকানন্দ সেতু বা নিবেদিতা সেতু থাকলেও বর্তমানে শহরে প্রবেশ করা ও সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার মূল মাধ্যম হয়ে উঠেছে বিদ্যাসাগর সেতুটি। এমতাবস্থায়, এই সেতুর সঙ্গে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের সংযোগস্থাপন করেছে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে। আর ওই রাস্তার ওপরেই রয়েছে সাঁতরাগাছি ব্রিজ। সেই কারণেই তীব্র ভোগান্তিতে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। তবে, বর্তমানে কাজের গতি অনুযায়ী, ২৫ ডিসেম্বরের আগে কিংবা কিছুটা পরেই পুরোদমে চালু হয়ে যাবে এই ব্রিজ। পাশাপাশি, সমস্ত পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ব্রিজটি পুরোদমে চালু হওয়ার আগে পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করবে পূর্ত দফতর।