বাংলাহান্ট ডেস্ক: বর্তমান প্রজন্মে জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম সারা আলি খান (sara ali khan)। সইফ আলি খান (saif ali khan) ও অমৃতা সিংয়ের (amrita singh) বড় মেয়ে বলিউডে পা রেখেই সকলের মন জয় করে নিয়েছিলেন। শুধু অভিনয় না, নম্রতা ভদ্রতার জোরেও তিনি নজর কেড়েছেন সকলের। নিজের মায়ের প্রতি যেমন তাঁর দায়িত্ববোধ, তেমনি বাবা ও সৎ ভাইদের প্রতিও উদাসীন নন সারা। তাঁর এই গুণটাই প্রশংসিত নেটমহলে।
কিন্তু ছোটবেলায় নাকি সারা ভাবতেন তাঁর বাবা মা দুজনেই খুব খারাপ মানুষ। তাঁর ধারনা ছিল, সইফ সবসময় গালাগালি দিয়ে কথা বলেন আর অমৃতা পর্ন সাইট চালান। ‘ওমকারা’ আর ‘কলিযুগ’ দেখে নাকি এই ধারনা হয়েছিল সারার। ওমকারাতে অভিনয় করেছিলেন সইফ আলি খান আর কলিযুগে দেখা গিয়েছিল অমৃতা সিং কে।
সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সারা জানান, নিজের বাবা মাকে খারাপ মানুষ ভেবে খুব মনমরা হয়ে থাকতেন তিনি ছোটবেলায়। তার উপর আবার নেগেটিভ চরিত্রে সেরা অভিনেতা অভিনেত্রীর জন্য মনোনীত হয়েছিলেন সইফ অমৃতা, তাও আবার একই বছরে। ছোট্ট সারা বিষয়টা একেবারেই ভাল ভাবে নেননি।
সাক্ষাৎকারে বাবা মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়েও কথা বলেন সারা। তাঁর যখন মাত্র নয় বছর বয়স সে সময়েই আলাদা হয়ে যান সইফ অমৃতা। এত বছর পর বিষয়টা নিয়ে বলতে গিয়ে সারা জানান, ছোট থেকেই অন্যদের তুলনায় তাঁর মানসিক বৃদ্ধিটা একটু তাড়াতাড়িই হয়েছে। তাই মাত্র নয় বছর বয়সেই তিনি বুঝতে শিখেছিলেন, বাবা মা এক বাড়িতে থেকে ভাল নেই।
তাঁর ভাবনাটাই সত্যি হয়েছিল। সারার কথায়, “দুটো আলাদা বাড়িতে থাকতে শুরু করায় হঠাৎ করেই তাঁদের খুব খুশি দেখা গেল। যেমন, আমার মা যাকে আমি দশ বছর ধরে হাসতে দেখিনি, হঠাৎ করেই তাঁকে অনেক খুশি লাগল, সুন্দর লাগল। আমার বাবা মা দুজনেই যদি আলাদা থেকে ভাল থাকে তাহলে আমি কেন বিষন্ন হব?” সারা আরো জানান, অনেক বছর পর নিজের মাকে আবার প্রাণোচ্ছ্বল দেখেছেন তিনি। তাই বিচ্ছেদটা নিয়ে তিনি খুশিই ছিলেন।