বাংলাহান্ট ডেস্ক: শুধু তারকা সুলভ জীবন যাপন নয়, মন্দির মসজিদেও মাঝেমধ্যেই দর্শন করতে দেখা যায় সারা আলি খানকে (sara ali khan)। ঈশ্বর বিশ্বাসী তিনি। পরম শক্তির খোঁজে বারে বারে মন্দিরে ছুটে যান সারা। কিছুদিন আগেই উজ্জয়িনীর মহাকালেশ্বর মন্দিরে পুজো দিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এবার ইন্দোরের খজরানা গণেশ মন্দির (khajrana ganesh temple) দর্শন করলেন তিনি।
ভিকি কৌশলের সঙ্গে আগামী ছবির শুটিংয়ের জন্য এই মুহূর্তে ইন্দোরে রয়েছেন সারা আলি খান। সোমবার সেখানকার প্রখ্যাত খজরানা গণেশ মন্দিরে পুজো দিতে দেখা গেল অভিনেত্রীকে। সঙ্গে ছিলেন মা অমৃতা সিংও। পুরোহিত দুজনকে দর্শনের সুযোগ করে দেন। মন্দিরের পুরোহিতের সঙ্গে ছবি তুললেও মাস্ক পরার কারণে সারাকে চিনতেই পারেননি তিনি। কিন্তু সঙ্কল্প করার সময়ে নাম জিজ্ঞাসা করতেই সত্যিটা সামনে আসে।
মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে বেশ কয়েকটি ছবি শেয়ার করেছেন সারা। গণেশজির সামনে দাঁড়িয়েও মায়ের সঙ্গে ছবি তুলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। গোলাপী ও হলুদ চুড়িদার পরে দেখা গিয়েছে সারাকে। মাথায় ওড়না ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি। পাশে অমৃতাকে দেখা গেল নীল চুড়িদারে।
দুদিন আগেই উজ্জ্বয়িনীর মহাকালেশ্বর মন্দিরে গিয়েছিলেন সারা ও অমৃতা। ধবধবে সাদা চুড়িদার, মাথায় ওড়না দিয়ে শুভ্র বেশে ধরা দিয়েছিলেন সারা। মহাকালের মন্দিরের সামনে বসে লেন্সবন্দি হন অভিনেত্রী। ক্যাপশনে তিনি লিখেছিলেন, ‘মা ও মহাকাল’।
কিন্তু ছবিগুলি শেয়ার করা মাত্রই সমালোচনার তীর ছুটে এসেছিল সারার দিকে। কয়েকজন প্রশ্ন করেছিলেন, তিনি আদৌ মুসলিম তো? একজন সরাসরি হুমকি দিয়ে লিখেছিলেন, ‘নাম সারা আলি খান, এদিকে হিন্দু ধর্ম পালন করছে। লজ্জায় ডুবে মরা উচিত। কোরান পাকে এইসব মানুষদের জন্য দোজখ লেখা আছে।’ একজন পরামর্শ দিয়েছিলেন, মুসলিম নাম বদলে হিন্দু নাম নিয়ে কোনো হিন্দু যুবককে বিয়ে করে নিতে।
এই ধরনের কোনো মন্তব্য, হুমকির উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না সারা। অভিনেত্রী জানান, যেখানেই তিনি ইতিবাচক শক্তি অনুভব করেন সেখানেই যান। সেটা মন্দির হোক বা মসজিদ হোক কিংবা গুরুদ্বারা।