রাম জন্মভূমির নীচ দিয়ে বইছে সরযূ নদী! উচ্ছ্বসিত ভক্তকুল, চিন্তায় ইঞ্জিনিয়াররা

পুরাণ অনুসারে রাম মন্দিরের ( ram janmbhumi temple)  পাশ দিয়েই বয়ে যাওয়ার কথা সরযূ (sarayu) নদীর। কিন্তু নদীর গতিপথ চিরকালই পরিবর্তনশীল। কালের নিয়মে গতিপথ পরিবর্তন করে সরযূ নদী এই মুহুর্তে প্রস্তাবিত রাম মন্দির থেকে বেশ কিছুটা দূরেই। তবে রাম মন্দিরের নীচে যে বহমান স্রোতধারার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে তা সরযূরই বলে মনে করা হচ্ছে। যে খবর পাওয়ার পর ভক্তকুল উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠলেও চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়েছে প্রকৌশলীদের।

ram mandir 8

ইঞ্জিনিয়াররা জানাচ্ছেন, মন্দিরের নীচে জলস্রোত এর অবস্থানের ফলে মন্দিরের ভিত দূর্বল হয়ে পড়তে পারে। ইতিমধ্যেই রাম মন্দির কর্তৃপক্ষ ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (IITs) -গুলিকে আরো উন্নত মডেল তৈরির অনুরোধ জানিয়েছে।

প্রস্তাবিত মন্দিরের কয়েকটি পিলার ভূপৃষ্ঠ থেকে ১২৫ ফুট নিচে বসানোর ২৮ দিন পর পরীক্ষা করা হয়েছিল। ওই স্তম্ভগুলির উপর ৭০০ টন ওজন চাপানো হয়। কিন্তু ২৮ দিন পর সেই পিলার থেকে যে রিডিং পাওয়া গিয়েছে তা আশাব্যঞ্জক নয়। নদীর বালি মাটি ও জলের কারনে এই পিলারগুলো ভর ধরে রাখতে পারবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। চেষ্টা করা হচ্ছে কোনোভাবে যদি নদীর জল গর্ভগৃহ পর্যন্ত আসা বন্ধ করা যায়।

রাম মন্দির নির্মাণের জন্য বেস শক্তিশালী হওয়া খুব দরকার। জানা গিয়েছিল, ১ হাজার ২০০ টি স্তম্ভে রাম মন্দির নির্মাণ হবে। ৬০ মিটার পর্যন্ত রাম মন্দিরের পাইলিং ফাউণ্ডেশন থাকবে। ১২০০ পাইলিং সিমেন্ট, পাথর আর রড দিয়ে তৈরি হবে। এগুলো সমুদ্র অথবা নদীতে যেমন ভাবে স্তম্ভ বানানো হয়, ঠিক তেমন ভাবেই হবে কিন্তু এতে স্টিলের প্রয়োগ হবে না। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এই কাঠামোর কোনো পরিবর্তন করা হয় কি না তা এখন সময়ের অপেক্ষা।

প্রসঙ্গত, রাম মন্দিরের সুরক্ষা সরকারের দায়িত্বে থাকবে। এটি একটি বিশ্বস্তরীয় কেন্দ্র হতে চলেছে, তাই এর সুরক্ষাও বিশ্বস্তরীয় হওয়ার দরকার। যেহেতু এটি বিশ্বস্তরীয় প্রোজেক্ট, সেহেতু সংবেদনশীলতার কথা মাথায় রেখে বেসরকারি সুরক্ষা এজেন্সি গুলোকে এর সুরক্ষা দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। রাম মন্দিরের সুরক্ষা সরকার নিজের হাতে রাখবে। এতে ট্রাস্ট কোন হস্তক্ষেপ করবে না।

 


সম্পর্কিত খবর