বাংলাহান্ট ডেস্ক: জি বাংলার ‘সারেগামাপা’ (Saregamapa) প্রতিটি সিজনেই দর্শকদের মুগ্ধ করে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত, তথা অন্য রাজ্য থেকেও প্রতিযোগীরা আসেন এই মঞ্চে ভাগ্যপরীক্ষা করাতে। নামীদামী শিল্পীদের সামনে পারফর্ম করে অনেকেই আজ সঙ্গীত জগতে প্রতিষ্ঠিত। তাই সারেগামাপার জনপ্রিয়তাও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এবারের সিজনেও বিভিন্ন ধরনের এবং ঘরানার গান শুনতে পাওয়া যাচ্ছে প্রতিবেশীদের গলায়। যেমন রয়েছে ক্লাসিকাল, আধুনিক হিন্দি বাংলা গান, তেমনি রয়েছে রক মিউজিক, কীর্তন, বাউল, লোকগীতিও। মাত্র কয়েকটি পবেই কিছু প্রতিযোগী শ্রোতা এবং বিচারকদের মনে ছাপ ফেলতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন দীপ চট্টোপাধ্যায় (Dip Chatterjee)।
বাঁকুড়ার মেজিয়ার এক বৈষ্ণব পরিবারের সন্তান দীপ। অডিশন রাউন্ডের পর গ্র্যান্ড প্রিমিয়ার পর্বেও তাঁর গান গোল্ডেন গিটার জিতে নিয়েছে। বিচারকরা প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন দীপকে। এদিন সেটে দর্শকাসনে উপস্থিত ছিলেন তাঁর মা বাবাও। কিন্তু গানের শেষে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি দীপ।
পরিবারে খুব একটা সচ্ছ্বল অবস্থা ছিল না তাঁদের কোনোদিনই। কিন্তু করোনার সময়ে পরিস্থিতি আরোই সঙ্গীন হয়ে উঠেছিল। দীপের বাবার অডিও ক্যাসেটের দোকানের আয় দিয়ে সংসার চলে। তাঁর মায়েরও কয়েকজন ছাত্রছাত্রী আছে যাদের তিনি তালিম দেন। লকডাউনের সময়ে ক্যাসেটের দোকানটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তখন বাবাকে দীপই বলেছিলেন, ওই দোকানে একদিন তাঁর গান বাজবে।
ছেলেকে এতবড় মঞ্চে গান গাইতে দেখে চোখে জল এসে গিয়েছিল তাঁর মায়েরও। তিনি নিজে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী। পাশাপাশি কীর্তনও গান। ছেলেকে ছোট থেকেই গান শিখিয়েছেন তিনিই। দীপ যখন একটি ঢোল কিনতে চেয়েছিল সেটাও কেনার মতো সামর্থ্য ছিল না তাঁদের সংসারে। আর আজ সারেগামাপার মঞ্চে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর সামনে গান গাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন দীপ।
https://www.instagram.com/tv/CflN_lOqbky/?igshid=YmMyMTA2M2Y=
গ্র্যান্ড প্রিমিয়ার পর্বে ‘নিতাই চাঁদের দরবারে’ গানটি গেয়ে শোনান দীপ। শ্রীকান্ত আচার্য, শান্তনু মৈত্র থেকে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী সকলেই ভূয়ষী প্রশংসা করেছেন দীপের। ওই পর্বে সেরা প্রতিযোগীও নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনিই।