বাংলাহান্ট ডেস্ক: অ্যালবার্ট কাবোকে (Albert Kaboo) নিশ্চয়ই এত তাড়াতাড়ি ভুলে যাননি কেউ। জি বাংলার সারেগামাপার গত সিজনে দ্বিতীয় স্থানাধিকারী ছিলেন তিনি। কালিম্পংয়ের ছেলে কাবো বিনা সঙ্গীত প্রশিক্ষণেই অনবদ্য সুর, তালে গেয়ে শ্রোতা এবং বিচারকদের হতভম্ব করে দিয়েছিলেন। তাঁর দু নম্বরে থাকায় অনেকেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।
শো শেষ হয়ে যাওয়ার পর কেটে গিয়েছে কয়েক মাস। এর মধ্যে জি বাংলার সোনার সংসারে এবং দিদি নাম্বার ওয়ানে একবার গান গাইতে এসেছিলেন কাবো। তবে এবারে তাঁকে দেখা গেল প্রতিযোগী হিসাবে। দিদি নাম্বার ওয়ানে প্রথম বার খেলায় অংশ নিলেন তিনি। তবে তিনি একা নন। সঙ্গে এসেছিলেন তাঁর স্ত্রী পূজা ছেত্রীও।
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে নিজের ব্যক্তিগত জীবনের অনেক কথাই তুলে ধরেন অ্যালবার্ট কাবো। লাজুক মুখে জানান নিজের প্রেমকাহিনিও। কালিম্পংয়ের ছেলে অ্যালবার্ট কাবো প্রেমে পড়েন গ্যাংটকের মেয়ে পূজার। এক বিয়েবাড়িতে আলাপ দুজনের। পূজা জানান, বন্ধুদের সঙ্গে নাচছিলেন তিনি। আর তাঁর দিক থেকে চোখই সরছিল না কাবোর।
সেই থেকেই শুরু হয় দুজনের কথাবার্তা। তাঁদের প্রেম থেকে বিয়ে সবটাই খুব ফিল্মি। কাবো জানান, পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। স্কুল শেষ হওয়ার দিন ইউনিফর্ম পরেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন পূজা। মাঝ রাস্তায় কাবোর সঙ্গে মিলিত হন তিনি। তারপর পালান দুজনে।
সে সময়ে কোনো কাজ করতেন না অ্যালবার্ট কাবো। শুনেই অবাক রচনা। বউকে খাওয়াবে কী সেটা না ভেবেই বিয়ে করে ফেললে? লাজুক হাসি দিয়ে কাবোর উত্তর, বাড়িতে ছিল তো অনেক কিছু খাবার। নাহ, শেষমেষ অবশ্য কাজের খোঁজে দুজনেই চলে যান ব্যাঙ্গালোর। সেখানে দু বছর ছিলেন কাবো আর পূজা থেকেছিলেন পাঁচ বছর।
২০১৬ সালে বিয়ে করেন কাবো আর পূজা। আগে কালিম্পংয়ে টুরিস্ট গাইডের কাজ করতেন অ্যালবার্ট কাবো। গানের গলা তাঁর ঈশ্বর প্রদত্ত। সারেগামাপা তে অংশ নিয়েই তাঁর প্রতিভা পৌঁছে গিয়েছে একটা বড় সংখ্যক শ্রোতার কাছে। এই পুরো স্ট্রাগলের সময়টা কাবোর পাশে ছিলেন পূজা। গত বছর এক ফুটফুটে মেয়েও হয়েছে তাঁদের।