বাংলাহান্ট ডেস্ক : সদ্য শেষ হয়েছে জি বাংলার সারেগামাপা (Saregamapa)। কিন্তু রেশ এখনো রয়ে গিয়েছে দর্শকদের মনে। দীর্ঘ প্রায় ছয় মাসের সঙ্গীত সফর শেষে বিজয়ীর শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছেন দেয়াশিনী রায় এবং অতনু মিশ্র। ফলাফল নিয়ে সামান্য বিতর্ক হলেও এই দুই প্রতিযোগীই যে বিজয়ী হওয়ার যোগ্য তাতে দ্বিমত নেই কারোর। এবার দেয়াশিনী আর অতনুকে নিয়ে সামনে এল এক বড় তথ্য।
একই গুরুর ছাত্র সারেগামাপার (Saregamapa) দুই বিজয়ী
অনেকেই জানেন না, এবারের সারেগামাপার (Saregamapa) এই দুই বিজয়ীর মধ্যে রয়েছে এক অদ্ভূত মিল। দেয়াশিনী এবং অতনু দুজনেই একই গুরুর ছাত্রছাত্রী। একই শিক্ষকের থেকে সঙ্গীত শিক্ষা নিয়ে সারেগামাপার (Saregamapa) মতো প্রতিযোগিতার মঞ্চে সেরার শিরোপা জয় করে নিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের সেই গুরুর নাম কী?
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল পোস্ট: সীমান্ত সরকার নামে এক ব্যক্তি সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। দেয়াশিনী (Saregamapa) এবং অতনুর সঙ্গে ছবি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘আনন্দের, গর্বের মুহূর্ত। আমার দুই ছাত্র-ছাত্রী দেয়াসিনী রায় এবং অতনু মিশ্র এবার জি বাংলা সারেগামাপা তে বিজয়ী হয়েছে । দেয়াসিনী প্রায় ১০বছরের মতো শিখছে আর অতনু ৫বছরের মতো হবে।’
আরো পড়ুন : একের পর এক “অবিচার”, বছর ঘোরার আগেই বিরাট “ধাক্কা”! জলসার মেগার জন্য দাবি রাখলেন দর্শক
কী লিখলেন শিক্ষক: সারেগামাপায় (Saregamapa) বড়দের মধ্যে বিজয়ী দেয়াশিনীর ব্যাপারে তিনি লিখেছেন, ‘দেয়াসিনীর হয়ে এটুকু বলতে পারি যে কোনোকিছুই সহজে আসেনি। ও ঘোষেছে প্রচুর। যাকে বলে পরিশ্রম । একদম নিষ্ঠার সঙ্গে । এরকম ছাত্রী সব গুরুই পেতে চাইবে । যতদিন দেয়াসিনী আমার কাছে শিখছে ,আমি আজ পর্যন্ত একদিনও দেখিনি যে হোমওয়ার্ক ঠিক করে করে আসেনি । সে শরীর খারাপ হোক বা পরীক্ষা । দিনে কম করে ৪ঘণ্টা রেওয়াজ করতো । কোনো কোনো সময়ে তার থেকেও বেশি । আর একটা জিনিস ওর মধ্যে রয়েছে যেটা এখন প্রায় আর দেখাই যায়না সেটা হলো গুরুর প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তি । ওর জোজো দাদা বলেছে মানে সেটা ওর কাছে বেদবাক্য । আর এই শ্রদ্ধা ভক্তি ওর থেকেও ওর মা বাবা বেশি করে বলে মনেহয়। আপনারা সকলে ওকে আশীর্বাদ করুন যেন এরকমই পরিশ্রমী থাকতে পারে এবং গানের প্রতি নিষ্ঠা রেখে এগিয়ে যেতে পারে’।
আরো পড়ুন : TRP-তে জি-এরই জয়জয়কার, সিরিয়াল শুরুর আগেই “ইতিহাস” গড়ল চ্যানেল
অন্যদিকে খুদে বিজয়ী অতনুর ব্যাপারে তিনি লিখেছেন, ‘আর দুষ্টু অতনু ওর ব্যপারে আর কী বলবো । যদিও আমার কাছে অনলাইন ক্লাস করে , কারণ ওর শরীর পারমিট করেনা যে ও প্রত্যেক সপ্তাহে কাঁথি থেকে এসে ক্লাস করবে । তবে যেটা শেখার মতো সেটা হলো ওর গানের প্রতি ভালোবাসা । আমার মনেহয় ওকে না খেতে দিলেও চলবে , কিন্তু গান ছাড়া এক মুহূর্ত ও থাকতে পারবেনা । অসাধারন প্রতিভা থাকলেও পরিশ্রমে কিন্তু কোনও কমতি নেই । আর আছে গানের ক্লাসের প্রতি সাংঘাতিক টান । আমি রাত ১০টা থেকে ১১.৩০ অব্দি ক্লাস করাই । কোনো কোনো সময়ে ১২টাও বেজে যায়ে । কিন্তু কোনোদিন কোনো ক্লান্তি ,বা অমনোযোগী হয়ে পড়া কোনোটাই চোখে পড়েনি ।যদিও ও এখনো প্রায় কিছুই শেখেনি ,আপনারা আশীর্বাদ করুন যাতে মাথা নীচু করে যেনো এখন শুধু শিখে যেতে পারে’।