বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কয়েকদিন পূর্বেই কেতুগ্রাম থেকে উঠে আসে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা, যেখানে নার্সের চাকরি পাওয়ার রেণু খাতুনের হাত কেটে নিতে দেখা যায় তার স্বামীকে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর গোটা বাংলায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে অভিযুক্ত শের মহম্মদ ‘নিরাপত্তাহীনতার’ কারণেই যে স্ত্রীয়ের সঙ্গে এহেন কাণ্ড ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে অনুমান করতে থাকে পুলিশ। তবে বর্তমানে এহেন ঘৃণ্য কাজের পেছনে প্রকৃত কারণ সম্পর্কে জানালো অভিযুক্ত যুবক, যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
এদিন পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে চাঞ্চল্যকর দাবি করে শের মহম্মদ ওরফে সরিফুল। সে জানায়, “শুধু একটা চাকরি পাওয়ার কারণে আমি রেণুর উপর হামলা করিনি। ও বহুদিন ধরে একটা বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে ছিল। সেই ঘটনা সম্পর্কে জেনে যাওয়ার পরে আমি বারংবার ওকে বারণ করি, কিন্তু সে আমার কোন কথা শোনেনি। সেই কারণেই উচিত শিক্ষা দেওয়ার স্বার্থে আমি ওর হাত কেটে নিই।”
যদিও এই খবর সামনে আসার পর অভিযুক্তর বক্তব্যকে এখনকার উড়িয়ে দিয়েছেন রেণু খাতুনের ভাই। তিনি বলেন, “নিজেকে বাঁচানোর জন্য এখন এসব অজুহাত দিচ্ছে ও। আমার দিদি কোনরকম বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত নেই। এটা ওকে বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, রেণু খাতুন নার্সের চাকরি পাওয়ার পরে তাঁর ওপর হামলা করে অভিযুক্ত যুবক। এক্ষেত্রে ঘটনার দিন বাপের বাড়ি থেকে স্ত্রীকে ডেকে আনে সরিফুল এবং এরপর রাতের দিকে আরো কয়েকজন সঙ্গীকে সঙ্গে নিয়েই স্ত্রীর ওপর হামলা চালায় সে। ডান হাতের কব্জি কেটে নেওয়ার মতো ঘৃণ্য কাজ করতেও পিছপা হয়না অভিযুক্ত। পরবর্তীকালে তদন্তে নেমে সরিফুল সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর থেকে স্ত্রীয়ের ওপর হামলার কারণ জানতে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অভিযুক্তকে এবং এদিন তার এই দাবি যে চাঞ্চল্য ফেলে দিলো, তা বলা যায়।