বাংলাহান্ট ডেস্ক: কঙ্গনার কেরিয়ারে কলঙ্ক ‘ধাকড়’ (Dhaakad)। জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রীর শেষ ছবি দেখে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন দর্শকরা। এত খারাপ ছবি নাকি এত বছরের কেরিয়ারে এই প্রথম করলেন কঙ্গনা। দীর্ঘদিনের পরিশ্রম, বড় বাজেট সমস্ত ব্যর্থ করে মাত্র কয়েক কোটি টাকা তুলেই প্রেক্ষাগৃহ থেকে বিদায় নিয়েছে ধাকড়। এমনকি শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় (Saswata Chatterjee) ছবিতে অভিনয় করেও দেখতে পারেননি।
কঙ্গনার এই ছবিতে একটি ছোট অথচ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাশ্বত। বিদেশেও শুটিংয়ে গিয়েছিলেন তিনি ধাকড় টিমের সঙ্গে। কিন্তু পরিশ্রম জলে গেল। দর্শকদের মধ্যে যারা দেখলেন ছবিটি তাদের বেশিরভাগই সমালোচনা করেছেন। আর বাকিদের দেখার আগেই হল থেকে তুলে নেওয়া হল ধাকড়।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শাশ্বত বলেন, দর্শকরা সম্ভবত ছবিটির অর্থই বুঝতেই পারেননি। কারণ দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে দর্শকদের মধ্যে কোনো প্রভাব পড়েনি ধাকড়ের। অথচ ছবিটির পেছনে অর্থ, পরিশ্রম দুটোই খরচ করা হয়েছিল। অ্যাকশন নির্ভর ছবিতে সবকিছুই ছিল যথেষ্ট রূপে। তবুও এই ব্যর্থতা দেখে স্বাভাবিক ভাবেই খারাপ লাগে বলে জানান শাশ্বত। তিনি দেখার আগেই হল থেকে উঠে গিয়েছিল ধাকড়।
ধাকড় চলেইনি প্রেক্ষাগৃহে। মুক্তির কয়েক দিন পরেই অত্যন্ত খারাপ ফলের জন্য প্রেক্ষাগৃহ থেকে উঠে যায় ধাকড়। ভুলভুলাইয়া ২ এর সামনে টিকতেই পারেনি এই ছবি। ৮৫ কোটি টাকার বাজেটে তৈরি হয়েছিল ধাকড়। এদিকে বক্স অফিসে মোটে ২.৫৮ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে কঙ্গনার ছবি।
ফলতঃ প্রায় ৭৮ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন ছবি নির্মাতারা। মাঝে খবর ছড়িয়েছিল ধার শোধ করতে নাকি নিজের অফিস বিক্রি করতে হয়েছে প্রযোজককে। কিন্তু ধাকড় প্রযোজক দীপক মুকুট স্পষ্ট জানান, এসব খবর ভিত্তিহীন গুজব। ইতিমধ্যেই বেশিরভাগ ক্ষতি সামলে উঠেছেন তিনি। নিন্দুকদের উদ্দেশে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন কঙ্গনাও, সাহস থাকলে সামনে এসে বলতে যে ধাকড় খারাপ হয়েছে।