বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সেই শুরুর সময় থেকে দিকে দিকে বারংবার বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন দিদির দূতেরা (Didir Doot)! এবারেও তার বিন্দুমাত্র ব্যতিক্রম হল না। সোমবার দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচীতে গিয়ে ফের একবার বিক্ষোভের মুখে সেলিব্রিটি ‘দিদির দূত’ শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। বীরভূমের (Birbhum) মহম্মদবাজারের ফুল্লাইপুর এলাকায় তৃণমূল সাংসদের (TMC MP) গাড়ি পৌঁছাতেই সেই গাড়ি থামিয়ে জলের দাবিতে চললো বিক্ষোভ।
এদিন ‘দিদির দূত’ হয়ে সাধারণ মানুষের সমস্যা নিরসনে মহম্মদবাজার সফরে গিয়েছিলেন শতাব্দী। কিন্তু সেখানেই ঘটল বিপত্তি। জানা যায়, সেখানের ফুল্লাইপুর এলাকায় তাঁর গাড়ি আটকে দেন ওই গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ। সাংসদের গাড়ি থামিয়েই নিজেদের দাবি জানিয়ে ফেটে পড়েন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘‘আমাদের গ্রামে পানীয় জলের পরিস্থিতি খারাপ। আমরা জল, স্বাস্থ্য এবং চাষের সুবিধা চাই।’’
এরপর ফুল্লাইপুরের উত্তেজিত জনতাকে তাঁদের দাবি দ্রুত মেটানোর আশ্বাস দেন নেত্রী। পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে শতাব্দী পৌঁছন মহম্মদবাজারেরই চড়িচা পঞ্চায়েতের বিরুপুর গ্রামে। সেখানকারী গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বললে, গ্রামবাসী তাঁদের জলসেচ এবং স্থানীয় শিবমন্দির সংস্কারের দাবির কথা সাংসদকে জানান। নেত্রী তাও দ্রুত মেটানোর আশ্বাস দিয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, পূর্বে চলতি মাসেই ১৩ তারিখ অনুব্রত গড়েই হাসন বিধানসভার মেলেরডাঙা গ্রামে গিয়েছিলেন শতাব্দী। সেখানেও জনতার রোষের মুখে পড়েন তিঁনি। তবে এদিন ফুল্লাইগ্রামে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর কথা মানতে চাননি তৃণমূল সাংসদ। তাঁর দাবি এই বিক্ষোভের নেপথ্যে বিজেপির হাত রয়েছে বলে মনে করেন তিঁনি। পাশাপাশি সাংসদ বলেন, ‘‘ওখানে বিজেপির পতাকা উড়ছে। তার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছেন। তার ফলে ওঁদের সুর অন্য।’’
অন্যদিকে শতাব্দীর এই মন্তব্যের পাল্টা বীরভূমের গেরিয়া শিবিরের জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার বক্তব্য, ‘‘মানুষের ক্ষোভ দেখলেই এখন তৃণমূল বিজেপির ভূত দেখতে পাচ্ছে। এতে আর কী করা যাবে। এই সমস্ত কিছুর উত্তর সাধারণ মানুষই দেবেন।’’
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা