বাংলাহান্ট ডেস্ক: দলীয় কর্মীর বাড়িতে পাত পেড়ে খেতে বসেও না খেয়ে উঠে পড়েছেন। বিষ্ফোরক অভিযোগের তীরে বারংবার বিদ্ধ হচ্ছেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। দরিদ্র কর্মী দলের সাংসদের আপ্যায়নের জন্য পঞ্চব্যঞ্জন সাজিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু তা না খেয়েই উঠে পড়ে নিন্দার মুখে পড়েছেন প্রাক্তন অভিনেত্রী। বিষয়টা নিয়ে আগেই আত্মপক্ষ সমর্থন করে উত্তর দিয়েছিলেন। এবার ফের ‘অদ্ভূত’ যুক্তি খাড়া করলেন শতাব্দী।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নয়া ‘দিদির দূত’ কর্মসূচি এনেছে রাজ্য সরকার। তৃণমূল সুপ্রিমোর নির্দেশে জেলায় জেলায় আমজনতার সমস্যা শুনতে হাজির হচ্ছেন নেতা নেত্রীরা। গত ১৩ জানুয়ারি তেঁতুলিয়ায় এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে না খেয়ে উঠে পড়ার অভিযোগ ওঠে শতাব্দীর বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি ঠাণ্ডা হয়নি। এর মধ্যেই আবারো কর্মসূচি নিয়ে বীরভূমের সাঁইথিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের সিউড়ি ২ নম্বর ব্লক এলাকার বনশঙ্কা পঞ্চায়েতে হাজির হন সাংসদ অভিনেত্রী।
এদিনও দলীয় কর্মীর বাড়িতেই খাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছিল তাঁর। আগের দিনও খেয়েছেন আর এদিনও খাবেন বলেই মন্তব্য করেন শতাব্দী। সংবাদ মাধ্যমের কাছে তিনি বলেন, বিগত ১৪ বছর ধরে বীরভূমে ঘুরছেন তিনি। রামচন্দ্র ১৪ বছর বনবাসে থেকেছিলেন। তিনি কি আর না খেয়ে এত বছর ধরে ঘুরতে পারেন? কর্মীদের বাড়িতেই তো খান।
এরপরেই বিতর্কের প্রসঙ্গ তুলে শতাব্দী বলেন, সেদিন দলীয় কর্মীর বাড়িতে খেতে বসেছিলেন তিনি। ভাত, ডাল, বেগুন ভাজা, মাছ ভাজায় সাজানো ছিল পাত। শতাব্দীর কথায়, ‘বেড়াল ডিঙোতে পারে না এমন ভাত দিয়েছিল’। ভাতের পরিমাণ কমিয়ে খেয়েছিলেন বলেই দাবি করেন শতাব্দী।
কিন্তু তিনি জানান, ওখানে যে সাংবাদিকরা বসে খাচ্ছিলেন তাদের খাওয়া শেষ হওয়ার আগেই শতাব্দী খেয়ে উঠে পড়েছিলেন। কিন্তু সাংবাদিকদের অনুরোধে ছবি তোলার জন্য আবারো পাতের সামনে বসেন তিনি। কিন্তু একবার খাওয়া হয়ে যাওয়ায় সেবারে শুধু ছবি তুলেই উঠে পড়েন শতাব্দী। এখন সাংবাদিকরা সেই ছবিগুলোই ‘এডিট’ করে তাঁর বিরুদ্ধে চালানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ সাংসদের।
এরপরেই এক ‘অদ্ভূত’ যুক্তি দেন শতাব্দী। তাঁর কথায়, ‘ছোটবেলায় মা দুধ খেতে দিলে সেই দুধ ফেলে দিয়ে বলতাম খেয়েছি। এখন আবারো তেমন প্রমাণ দিতে হবে দেখছি’।