Satabdi Roy: ‘গো ব্যাক’ স্লোগান, গাড়িতে ভাঙচুর, ‘গেলেও দোষ, না গেলেও দোষ’, ঋতুপর্ণার হয়ে কটাক্ষ শতাব্দীর

বাংলাহান্ট ডেস্ক : অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের উপরে আক্রমণের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে ‘রাত দখল’ এর লড়াইতে মোমবাতি নিয়ে সমবেদনা জানাতে গিয়েছিলেন ঋতুপর্ণাও (Rituparna Sengupta)। কিন্তু কিছু আন্দোলনকারীর হাতে চরম হেনস্থা হতে হয় তাঁকে। ওঠে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। এবার অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে আন্দোলনকারীদের কটাক্ষ করলেন শতাব্দী (Satabdi Roy)।

ঋতুপর্ণার পাশে দাঁড়ালেন শতাব্দী (Satabdi Roy)

ঋতুপর্ণাকে হেনস্থার প্রতিবাদে সরব হতে দেখা গিয়েছে টলিউডের একাধিক ব্যক্তিত্বকে। এবার তাঁর পাশে দাঁড়ালেন প্রাক্তন অভিনেত্রী তথা তৃণমূলের সাংসদ শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। আন্দোলনকারীদেরই একহাত নিয়ে তিনি কটাক্ষ শানান, ‘গেলেও দোষ, না গেলেও দোষ’। তিনি বলেন, একজন শিল্পী যদি কোনো আন্দোলনে যোগ দেন তবে তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে। আর না গেলে দোষারোপ করা হচ্ছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। যাঁরা এ ধরণের আচরণ করছেন তাঁরা আসলে কী চাইছেন সেটা বোঝা দরকার।

   

আরো পড়ুন : Kanchan Mallick: ‘কাঞ্চনের বন্ধুরাই পিঠে ছুরি মারছেন’, স্বামীকে আগলে ফোঁস করলেন স্ত্রী শ্রীময়ী

আন্দোলনকারীদের কটাক্ষ শতাব্দীর

শতাব্দী (Satabdi Roy) আরো বলেন, প্রতিবাদ বা আন্দোলন করা গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু সেই অধিকার ব্যবহার করতে গিয়ে কোনো ব্যক্তি বা শিল্পীকে হেনস্থা করা মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়। নাগরিক হিসেবে তাঁর মতামত প্রকাশের অধিকারকে সকলেরই সমর্থন করা উচিত বলে মত শতাব্দীর।

আরো পড়ুন : Sayantika Banerjee: ‘কানের পর্দা ঠিক আছে তো?’, নিজের ছবির গান গেয়ে শ্রোতাদের প্রশ্ন সায়ন্তিকার… কিন্তু কেন?

রাত দখল নিয়ে বিষ্ফোরক ঋতুপর্ণা

৫ ই সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হওয়ার কথা ছিল আরজিকর (RG Kar Medical College Hospital) মামলার। তার আগের রাতে অন্ধকার থেকে আলোয় চলোর কর্মসূচি পালন করেন আরজিকর এর জুনিয়র ডাক্তাররা। সঙ্গে ছিল রাত দখলের ডাক। মধ্যরাত পেরিয়ে সেখানেই উপস্থিত হয়েছিলেন ঋতুপর্ণা। কিন্তু উন্মত্ত জনতার ক্ষোভের মুখে পড়ে সেখান থেকে কার্যত পালিয়ে বাঁচেন অভিনেত্রী। সংবাদ মাধ্যমকে ঋতুপর্ণা জানিয়েছিলেন, ওই আন্দোলনে সেলিব্রিটি হিসেবে যাননি তিনি। যখন তিনি যান, তখনো কিছু হয়নি। তিনি শুনেছিলেন সেদিন তিলোত্তমার মা বাবাও আসবেন। তিনি গিয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে তিলোত্তমার আত্মার শান্তি কামনা করেন। অভিনেত্রী জানান, অনেক পড়ুয়াও মাইকে বলছিল, তাঁকে কিছু বলতে দিতে। কিন্তু এরপরেই আচমকা বদলে যায় পরিস্থিতি।

Satabdi Roy

ঋতুপর্ণা জানান, আচমকা কিছু লোক তাঁর দিকে রীতিমতো তেড়ে আসে। ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন। তাঁকে এমন ধাক্কা দেওয়া হয় যে তিনি পড়ে যান। তাঁর নতুন গাড়িতেও এত জোরে মারা হয়েছে যে কিছু জায়গা ভেঙে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ঋতুপর্ণা। তিনি এও অভিযোগ করেন, ওই একদল লোক মদ্যপ ছিলেন। ঋতুপর্ণা প্রশ্ন তুলেছেন, একজন নারীকে সম্মান দিতে গিয়ে আরেকজন নারীকে হেনস্থা করে অসম্মান করায় কী বীরত্ব রয়েছে?

Niranjana Nag
Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর