বাংলাহান্ট ডেস্ক: এক বছর আগে নেপোটিজমের (nepotism) অভিযোগে উত্তাল হয়েছিল বলিউড। বাঘা বাঘা পরিচালক প্রযোজকরা প্রমাদ গুণেছিলেন নেটনাগরিকদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে। স্বজনপোষনের অভিযোগ উঠেছিল টলিউডেও। ইন্ডাস্ট্রির সর্বেসর্বা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর দিকে আঙুল তুলেছিলেন শ্রীলেখা মিত্র। এবার তাঁর সুরেই সুর মেলালেন অভিনেত্রী শতাব্দী রায় (satabdi roy)।
টলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম শতাব্দী। প্রসেনজিৎ, চিরঞ্জিৎ সহ প্রায় সব সুপারহিট নায়কদের সঙ্গেই অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু এতদিন পর তিনিও স্বীকার করলেন টলিউডে স্বজনপোষন আছে এবং তিনিও তার ভুক্তভোগী। অনেক সময়ে এর জেরে নাকি ছবি থেকেও বাদ পড়েছেন শতাব্দী।
এই সময় ডিজিটালের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সে সময়কার টলিউডের অন্দরের গোপন কথা ফাঁস করে দেন শতাব্দী। কারোর নাম না করেই তিনি বলেন, “অনেক সময় এমন হয়েছে, কোনো নায়কের সঙ্গে এক নায়িকার সম্পর্ক। তাঁকেই ছবিতে নেওয়া হয়েছে। অনেক ছবি থেকে বাদ পড়েছি।” অভিনেত্রীর কথায়, এই জিনিসগুলো আগেও যেমন ছিল, এখনো আছে। ভবিষ্যতেও পরিবর্তন হবে বলে মনে হয়না।
তবে তথাকথিত স্বজনপোষন নিয়ে শতাব্দীর মত, বাবা মা যদি নামী ব্যক্তিত্ব হন তবে ছেলে মেয়েও নাম করুক সেটা চাইবেনই। তাই অঞ্জন চৌধুরী যদি মেয়ে চুমকি চৌধুরীকে নায়িকা করেন তাতে কিছু বলার থাকতে পারে না বলেই মনে করেন শতাব্দী।
টলিউডের ‘ইন্ডাস্ট্রি’ প্রসেনজিতের বিরুদ্ধে অতীতে স্বজনপোষনের অভিযোগ উঠেছে। শতাব্দী নিজেও বহু ছবিতে কাজ করেছেন ‘বুম্বাদা’র সঙ্গে। কেমন ছিল তাঁদের অফস্ক্রিন রসায়ন? অভিনেত্রী জানান, প্রসেনজিতের সঙ্গে তাঁর ঝগড়া বেশি হত ঠিকই, কিন্তু তার প্রভাব কখনো তাঁদের কাজে পড়েনি।
অন্যদিকে আবার চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর সঙ্গে একবার এমনি বিবাদ হয়েছিল যে বেশ কিছুদিন তাঁরা একত্রে কাজ করেননি। কিন্তু শতাব্দীর দাবি, ‘চিরঞ্জিৎ দা’র সঙ্গে কথা বলে মজা আছে। আরেক সুপারস্টার প্রয়াত তাপস পালের সঙ্গে কিন্তু কোনোদিনই কোনো ঝামেলা হয়নি শতাব্দীর।
আগেকার ও এখনকার টলিউডের মধ্যে অবশ্য নিজের সময়কার ইন্ডাস্ট্রিকেই এগিয়ে রাখবেন শতাব্দী। কারণ তাঁর মতে, স্বজনপোষন আগেও ছিল এখনো আছে। কিন্তু তফাৎ হল, আগে নোংরা রাজনীতি হত না ইন্ডাস্ট্রির অভ্যন্তরে। এখন অনেকগুলি গ্রুপ হয়ে গিয়েছে টলিউডে। এখানে কেউ কারোর নয়।