বাংলাহান্ট ডেস্ক: তিন দিন অতিক্রান্ত। কিন্তু অভিনেতা সতীশ কৌশিকের (Satish Kaushik) মৃত্যুটা এখনো ভুলতে পারছে না বলিউড। একদিন আগেও রঙের উৎসবে মেতেছিলেন তিনি। তাঁর হাসিমুখের ছবি এখনো জ্বলজ্বল করছে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায়। কিন্তু মানুষটাই নেই হয়ে গিয়েছে। প্রিয়জনদের ছেড়ে চিরকালের জন্য না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন সতীশ।
গত ৯ ই মার্চ গুরুগ্রামে এক বলিউডি হোলি পার্টিতে গিয়েছিলেন সতীশ কৌশিক। জাভেদ আখতার, শিবানী দান্ডেকর, আলি ফজল, রিচা চাড্ডার মতো ইন্ডাস্ট্রির বহু তারকাই ছিলেন ওই পার্টিতে। সেখান থেকে ফের পরের দিন দিল্লি উড়ে যান সতীশ। এক নামী ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টের ফার্ম হাউসে থাকছিলেন তিনি। হোলি পার্টি চলাকালীনই অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিনেতা। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
অভিনেতার মৃত্যু নিয়ে এখনো শোকে মূহ্যমান বলিপাড়া। এর মধ্যেই সতীশের শেষ মুহূর্ত নিয়ে মুখ খুললেন তাঁর ম্যানেজার সন্তোষ রাই। ঘটনার দিন অভিনেতা এবং তাঁর ম্যানেজারের দিল্লি থেকে মুম্বই ফেরার ফ্লাইট ধরার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সতীশ। বুকে ব্যথা হতে থাকে তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন সন্তোষ।
গাড়িতে যেতে যেতে কী কথা হয়েছিল দুজনের মধ্যে? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেকথা জানান সন্তোষ। তিনি জানান, সতীশের বলা শেষ কথাগুলো চিরদিন তাঁর কানে বাজতে থাকবে। তিনি বলেছিলেন, ‘সন্তোষ আমি মরতে চাই না, আমাকে বাঁচাও।’ বুকের ব্যথা আরো বাড়তে সন্তোষকে তিনি বলেছিলেন, ‘ভানসিকার জন্য বাঁচতে চাই আমি। আমার মনে হয় আমি আর বাঁচব না। শশী আর ভানসিকাকে দেখো’।
সতীশ কৌশিকের মৃত্যু রহস্য নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। জানা গিয়েছে, সতীশ যে ফার্ম হাউসে থাকছিলেন, সেখান থেকে কিছু ওষুধ উদ্ধার করেছে পুলিস। সেগুলো কীসের ওষুধ তা এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি। পাশাপাশি হোলি পার্টির সমস্ত আমন্ত্রিতদের একটা তালিকাও বানিয়েছে তদন্তকারীরা। একে একে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে প্রত্যেককে। অন্যদিকে প্রয়াত অভিনেতার দেহের অটোপ্সি রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন তদন্তকারীরা। সেই রিপোর্ট হাতে পেলেই বোঝা যাবে সতীশের মৃত্যুর আসল কারণ কী?