ভারত(India) সরকার তাদের কূটনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে চাণক্য নীতি প্রয়োগ করে এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। শত্রুর শত্রু বন্ধু হয় এই নীতি সকলের জানা। তবে এখন মোদী সরকার এখন নতুন কূটনৈতিক খেলা দেখিয়ে দিয়েছে। মোদী সরকার শত্রুর বন্ধুকে নিজের পরম বন্ধু করার নীতি বাস্তবায়ন করেছে। মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার আগে ভারতের সাথে সৌদি আরবের সম্পর্ক তেমন কোনো মজবুত ছিল না। সম্পর্ক শুধুমাত্র আমদানি ও রপ্তানির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। তবে এবার সৌদি আরব ও ভারতের সম্পর্ক লাগাতার দৃঢ় হচ্ছে।
অন্যদিকে পাকিস্তান ও সৌদি আরবের সম্পর্ক প্রথম থেকেই মজবুত রয়েছে। পাকিস্তান ইসলামের দোহাই দিয়ে সৌদির সাথে সম্পর্ক দৃঢ় রেখে আসছে। তবে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মঞ্চে ধর্ম কোনো বিষয় নয় এটাও একটা বড়ো বিষয়। আন্তর্জাতিক মঞ্চে মূল বিষয় হলো অর্থনীতি। ভারত বর্তমানে অর্থনীতিতে ভারত লাগাতার শক্তিশালী হচ্ছে তাই বিশ্বের দেশগুলির সাথে সম্পর্ক মজবুত করতেও সুবিধা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী সম্প্রতি সৌদি সফরে গিয়ে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে ভারতের সাথে সৌদির ১২ টি বড়ো বড়ো চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এর মধ্যে ২ টি সুরক্ষা বিষয়কও রয়েছে। যা নিয়ে ভারতে তেমন কোনো চর্চা না হলরও, পাকিস্তানের মিডিয়ায় অনেক আলোচনা হয়েছে।
কারণ পাকিস্তান এটা ভালোমতো বুঝতে পেরেছে যে ভারত তাদের কূটনৈতিকভাবে দুর্বল করার উপর বড়ো পদক্ষেপ নিয়েছে। মজার বিষয় এই যে, সৌদি আরব ভারতকে তাদের সঙ্গী হিসেবে পাওয়ার জন্য ব্যাপকভাবে উৎসাহ দেখিয়েছে। অক্টোবরের শেষে, প্রধানমন্ত্রী মোদী সৌদি আরবে ছিলেন যেখানে তিনি ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট ইনিশিয়েটিভে অংশ নিয়েছিলেন। ভিশন ২০২০-এর আওতায় সৌদি আরব বিশ্বের সমস্ত বড় অর্থনীতির সাথে সুসম্পর্ক চায়। এমন পরিস্থিতিতে সৌদি আরব এখন ভারতের সাথে অংশীদারিত্বকে নতুন মাত্রা দিচ্ছে।