আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে দেশের রাজাকে ধন্যবাদ সৌদি আরবের কোচের, ‘হজম হচ্ছে না’, মন্তব্য মেসিদের কোচের

Last Updated:

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: সৌদি আরবের কাছে হারের দুঃখ নিয়ে বসে থেকে সময় নষ্ট করতে চান না আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি। নিজেদের পরবর্তী প্রতিপক্ষ মেক্সিকোর বিরুদ্ধে ভুলত্রুটিগুলো শুধরে নিয়ে মাঠে নামার জন্য দলকে প্রস্তুত করতেই ব্যস্ত হয়ে পড়তে চান তিনি। কিন্তু চাইলেও এই হারের কথা সহজে ভুলতে পারবেন না আর্জেন্টাইন কোচ। যদিও এখনও কিছুই শেষ হয়ে যায়নি। পরের দুই ম্যাচে মেক্সিকো এবং পোল্যান্ডকে হারিয়ে গ্রুপের শীর্ষস্থানে থেকেই পরের রাউন্ডে যেতে পারে মেসিরা। সেক্ষেত্রে আজকের মেক্সিকো বনাম পোল্যান্ড ম্যাচ টি ড্র হলে তাদের খুবই সুবিধা হবে। কিন্তু ব্রাজিল, ইতালির মতো প্রতিপক্ষদের হারিয়ে ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড তৈরি করা দলটি যে সৌদি আরবের মতো খাতায়-কলমে এমন একটা দুর্বল দলের বিরুদ্ধে হারবে তা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি কেউ।

সৌদি আরবের জয়ের কারণ কি সেটা জিজ্ঞাসা করলেই অনেক আর্জেন্টাইন ভক্ত প্রথমেই বলবেন প্রথমার্ধে তাদের তিনটি বাতিল হওয়া অফসাইড গোলের কথা। ওই বাতিল গোল গুলির ক্ষেত্রে একটু যদি ধৈর্য দেখাতে পারতেন মেসি, লাউতারোরা তাহলে প্রথমার্ধেই খেলা শেষ করে দিতে পারতো নীল সাদা ব্রিগেড। এখন আর কোনও কিছু হালকা ভাবে নেওয়াও সম্ভব নয় তাদের পক্ষে। গ্রুপের বাকি দুটি দলকেই না হারাতে পারলে গ্রুপপর্ব থেকে বিদায়ের আশঙ্কা চলে আসছে। তার মধ্যে শনিবার দ্বিতীয় ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ মেক্সিকো যারা প্রতিবারই বিশ্বকাপে মনে রাখার মত কিছু না কিছু পারফরম্যান্স করে যায়।

হারের পর আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি নিজের প্রথম প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, “হারটা হজম করতে পারছি না। দ্বিতীয়ার্ধে মাত্র চার পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে ওরা দুই গোল করে চলে গেছে। সবচেয়ে কষ্টের ব্যাপার হল ওই দুটো শট ছিল তাদের এই ম্যাচে টার্গেটে রাখতে পারা দুটি শট। কিন্তু আমরা এই অবস্থা থেকে ফিরে আসবো এবং পরের দুটি ম্যাচ জিতবো। অবশ্যই আজকের ম্যাচটা হতাশা জনক কিন্তু আমাদের মাথা উঁচু করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।”

এই বিখ্যাত জয়ের পর সকলেই প্রশংসা করছেন সৌদি আরবের কোচ হার্ভে রেনার্ডের। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করার পরে দলের প্রশিক্ষণের ওপর আরো বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন তিনি। শেষ ২ মাসে দেশের ফুটবল লিগ বন্ধ করে তিনি এই দলটিকে বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত করে তোলার কাজ করেছেন। তিনি নিজে এই ঐতিহাসিক জয়ের পর ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রিন্স মহম্মদ বিন সালমানকে তাদের দলের ওপর প্রত্যাশার পাহাড় চাপিয়ে না দেওয়ার জন্য।

এরপর অবশ্য নিজের দলের সমালোচনাও করেছেন তিনি। তিনি বলেছেন আর্জেন্টিনার বাতিল হওয়া ওই তিনটি গোলের মধ্যে থেকে যে কোনও একটি যদি হয়ে যেত তাহলেই ম্যাচটা ওখানে শেষ হয়ে যেত। তার মতে রোজ রোজ এত বড় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ পান না তারা। তাই যখন সুযোগ আসে তখন প্রথমার্ধে তারা যতগুলো ভুল করেছেন অতগুলো ভুল করার জায়গা থাকে না। তবে পিছিয়ে পড়েও আর্জেন্টিনার মতো বড় দলের বিরুদ্ধে প্রত্যাবর্তন করায় তার দলের ফুটবলের অভিনন্দনও জানিয়েছেন তিনি।

X