বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ‘নীরবেই ডাকো সৃষ্টিকর্তাকে। এর জন্য অন্যকে বিরক্ত করা ঠিক নয়’।- সম্প্রতি সৌদি আরবে (saudi arabia) এমনই একটি সার্কুলার জারী করলেন দেশের ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রকের মন্ত্রী আব্দুল লতিফ আল শেখ (Abdullatif al-Sheikh)। সঙ্গে আরও বলেন, ‘মসজিদে মাইকের আওয়াজ এক-তৃতীয়াংশ রাখতে হবে এবং আজান ও ইকামত ছাড়া মাইক ব্যবহার করা যাবে না’।
সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মহম্মদ বিন সলমন (Mohammed Bin Salman) দেশকে ধীরে ধীরে উদারপন্থী দেশ হিসেবে তুলে ধরার লক্ষ্যে এগোচ্ছেন। যার কারণে বেশকিছু কুসংস্কার প্রথা ত্যাগ করেও তিনি সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন। কিছুদিন আগেই ‘দেশের মহিলারা গাড়ি চালাতে পারবেন না’- এমন নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে দেন। পরবর্তীতে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যারাই প্রিন্সের বিরুদ্ধাচারণ করেছিলেন, তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছিল।
এরই মধ্যে গত ২৩ শে মে ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রকের মন্ত্রী আব্দুল লতিফ আল শেখ এক সার্কুলার জারি করে বলেন, ‘মসজিদে মাইকের আওয়াজ এক-তৃতীয়াংশ রাখতে হবে এবং আজান ও ইকামত ছাড়া মাইক ব্যবহার করা যাবে না। নীরবেই ডাকো সৃষ্টিকর্তাকে। এর জন্য অন্যকে বিরক্ত করা ঠিক নয়। আজান এবং ইকামতের পর মাইকের আওয়াজ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে’।
দেশের ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রকের মন্ত্রীর এই ঘোষণার পর থেকে একাংশ এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। স্যোশাল মিডিয়ায় আন্দোলনের মাধ্যমে তাঁরা দাবী তোলেন, মসজিদের মাইকে যদি মানুষের অসুবিধা হয়, তাহলে রেস্তোঁরা ও ক্যাফেগুলিতে বাজতে থাকা উচ্চস্বরে গানও নিয়ন্ত্রণে আনা উচিত। এমনকি তাঁরা এর জন্য হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ডও চালু করে।
প্রসঙ্গত, নামাজের প্রথম আহ্বান হল আজান এবং দ্বিতীয় আহ্বান হল ইকামত। এই ইকামতের অর্থ হল- ইমাম সাহেব জামাতে নামাজের জন্য কাবিলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছেন এবং নামাজ শুরু হতে চলেছে। সৌদি আরবের ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রকের মন্ত্রীর বক্তব্য- এই ইকামতের পর অর্থাৎ একজনের আওয়াজের ওপর অন্যদের আওয়াজ তোলার দরকার নেই। সৃষ্টিকর্তাকে নিরবেই ডাকুক মানুষজন।