বাংলা হান্ট ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) সাম্প্রতিক সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে আবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর শেহবাজ শরীফ (Shehbaz Sharif) তাঁর প্রথম বিদেশ সফরে এখন সৌদি আরবে (Saudi Arabia) রয়েছেন। শেহবাজ এবং সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের রবিবার রিয়াধে সাক্ষাতের একদিন পরে সোমবার জারি করা যৌথ বিবৃতিতে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে চলমান সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে আলোচনার গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি, পাকিস্তানকে পরামর্শ দেওয়ার সময় সৌদি বলেছে, “বিশেষ করে জম্মু ও কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে এই অঞ্চলে উত্তেজনা কমানো যেতে পারে।” যৌথ বিবৃতি অনুযায়ী, “শেহবাজ এবং সৌদি যুবরাজের মধ্যে আলোচনা দুই দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ককে শক্তিশালী করবে ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর উপায় অন্বেষণ করছে।”
“কাশ্মীর একটি দ্বিপাক্ষিক সমস্যা”: পাশাপাশি, কাশ্মীরসহ আঞ্চলিক সমস্যা নিয়েও তাঁরা আলোচনা করেছেন। যেগুলির উল্লেখ বিবৃতিতে রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, উভয়পক্ষই ওই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে আলোচনার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে। একই সঙ্গে ভারত দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে যে কাশ্মীর একটি দ্বিপাক্ষিক সমস্যা। এতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তৃতীয় কোনো দেশের হস্তক্ষেপের প্রশ্নই ওঠে না।
আরও পড়ুন: ভারতের বিরুদ্ধে “টার্গেট কিলিং”-এর অভিযোগ পাকিস্তানের, মুখ খুলল আমেরিকাও
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে গিয়েছিল যখন ভারত ২০১৯ সালে সংবিধান থেকে আর্টিক্যাল ৩৭০ সরিয়ে দেয়। এর পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ নামে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করা হয়। এদিকে, ওই যৌথ বিবৃতিতে পাকিস্তানের অর্থনীতিতে উপসাগরীয় রাজ্যের সহায়ক ভূমিকা এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদার করার পারস্পরিক ইচ্ছার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাতে করেই ছোঁড়া যাবে ক্ষেপণাস্ত্র! নিমেষে ধ্বংস হবে শত্রুবিমান, রাশিয়ার ইগলা-এস দিয়েই বাজিমাত ভারতের
বালোচরা ২০৪৮ সালের মধ্যে পাকিস্তানে সংখ্যালঘু হয়ে যেতে পারে: লন্ডনে স্থিত একজন বিশিষ্ট লেখক এবং কর্মী শাব্বির চৌধুরী বহু বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (CPEC) সম্পর্কে একটি মারাত্মক সতর্কতা জারি করেছেন। যেখানে পাকিস্তানের বালোচ জনগণের জন্য একটি অন্ধকার ভবিষ্যতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তিনি সতর্ক করেছিলেন যে, যদি চিনের প্রভাব এভাবে বাড়তে থাকে তবে বালোচরা ২০৪৮ সালের মধ্যে সংখ্যালঘু জনসংখ্যায় পরিণত হওয়ার পথে যেতে পারে।