বাংলাহান্ট ডেস্ক: গত ৭৫ বছর ধরেই বিশ্বের কাছে ভিক্ষা করে বেড়িয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। আজ তাদের দেশের চরম এক অর্থনৈতিক সঙ্কট চলছে। এই অবস্থায় কারও থেকেই সে ভাবে সাহায্য পাচ্ছে না তারা। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও (IMF) তাদের থেকে মুখ ফিরিয়েছে। এই অবস্থায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির দিকে তাকিয়ে ছিল পাকিস্তান। সৌদি আরব-সহ কয়েকটি দেশ সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছিল। কিন্তু ফের বিপদ ঘনিয়ে এল শহবাজ শরিফের কপালে।
অর্থনৈতিক সঙ্কট থেকে পাকিস্তানকে মুক্তি দিতে সাহায্যের হাত বাড়ানোর বার্তা দিয়েছিল তাদের ‘বন্ধু’ দেশগুলি। কিন্তু পাকিস্তানের সংবাদবাধ্যম কয়েকটি চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট সামনে এনেছে। নবম রিভিউতে অনুমোদন দেওয়ার আগে অন্যান্য় মুসলিম দেশগুলির থেকে নিশ্চিতকরণ চেয়েছিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানকে ৬ বিলিয়ন ডলারের বেল আউট প্যাকেজ দেওয়ার আগে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করে নিতে চাইছে আইএমএফ।
এদিকে মুসলিম দেশগুলি যদি পাকিস্তানের সুপারিশ না করে, তাহলে পাকিস্তান ডিফল্ট হতে পারে। তাই পাকিস্তান প্রশাসনের শীর্ষ নেতৃত্বের চোখ এখন রয়েছে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও কাতারের দিকে। এই মুহূর্তে তারাই একমাত্র পাকিস্তানকে দেউলিয়া হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে। শীর্ষস্থানীয় এক প্রশাসনিক আধিকারিক পাক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন সে কথা।
তিনি আরও জানিয়েছেন, এখন তাঁদের কাছে একমাত্র উপায় হল সুপারিশের প্রার্থনা করা। যদি মুসলিম দেশগুলি পাকিস্তানের সপক্ষে সওয়াল করে, তাহলে তারা বেঁচে যাবে। নইলে একেবারেই ডুবে যাবে পাকিস্তান। সপ্তম ও অষ্টম রিভিউয়ের আগে পাকিস্তানকে সব রকম সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছিল এই ‘বন্ধু’ রাষ্ট্রগুলি। কিন্তু চলতি অর্থবর্ষে কেটে গিয়েছে বেশ কয়েক মাস। এখনও কোনও সাহায্যই আসেনি মধ্যপ্রাচ্য থেকে।
এই মুহূর্তে পাকিস্তানকে তাদের দ্বিপাক্ষিক অংশীদারদের প্রতি প্রতিশ্রুতি পূরণ করতেই হবে। যদি তারা ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা আবারও ধাক্কা খাবে। যার ফলে আইএমএফ থেকে অর্থসাহায্য আসবে না। দেশটির অর্থনীতির যা অবস্থা, তাতে তাদের দেউলিয়া হয়ে যাওয়া কেবল সময়ের অপেক্ষা। এদিকে সৌদি আরবের মতো দেশগুলি কেন পাকিস্তানকে সাহায্য করা থেকে পিছিয়ে এল, তা জানার চেষ্টা করছে আইএমএফ। এই পরিস্থিতিতে একমাত্র মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির অনুমোদনই স্টাফ লেভেল চুক্তিতে সাহায্য করতে পারে পাকিস্তানকে।