বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের জেরে জেরবার গোটা বিশ্ব। সৌদি আরব (Saudi Arabia), আমেরিকা (America), ইউরোপের মত বিশ্বের শক্তিশালী এবং ক্ষমতাবান দেশগুলোও এই রোগের কাছে কাবু হয়ে পড়েছে। তবে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তেল উৎপাদক দেশ খাড়ি দেশগুলো।
মুষড়ে পড়েছে সৌদি আরবের অর্থনীতি
সংকটের একেবারে শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরব। এই দেশের অর্থ ব্যবস্থা পুরোটাই তেলের রপ্তানির উপর নির্ভর করে থাকে। কিন্তু করোনার কারণে তেলের রপ্তানি বন্ধ থাকায় তেলের দামের ভারী পতন লক্ষ্য করা গেছে। এই পরিস্থিতিতে সৌদি আরবের সরকার এমন কঠিনতর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে, যার জেরে সেখানকার বাসিন্দারা সরকারের বিপক্ষে সোচ্চার হয়েছে।
বাড়ানো হয়েছে করের পরিমাণ
পূর্বেই সৌদি প্রিন্স মহম্মদ বিন সলমন এর আগেও নাগরিকদের উপর করের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছিল। নাগরিকদের উপর VAT তিনগুণ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। যার ফলে আগে থেকেই মানুষের উপর চাপ পড়ে আছে।
সিটিজেন অ্যাকাউন্ট প্রোগ্রাম পরিষেবা
২০১৭ সালে সৌদি আরবে পাশ হয় সিটিজেন অ্যাকাউন্ট প্রোগ্রাম পরিষেবা। এই পরিষেবার আয়ত্তায়, সৌদি আরবের ১২.৬ মিলিয়ন পরিবারকে অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেককে মাসিক একটি অনুদান দেওয়া হত। দেশের গরীব মানুষদের সুবিধার্থে এই আইন জারী করা হয়েছিল।
বাতিল হচ্ছে নাগরিক সাহায্যের পরিষেবা
কিন্তু বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির দরুণ অর্থনীতি মুষড়ে পড়ায় গত এপ্রিল থেকেই এই পরিষেবা থেকে নাগরিকদের বঞ্চিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরবের সরকার। সূত্র মারফত জানা যায়, জুলাইয়ের মধ্যেই ১.৩ মিলিয়ন নাগরিক এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে গেছেন। যার ফলে নাগরিকদের মধ্যে সরকার বিরোধী মনোভাব গড়ে উঠেছে।
বন্ধ রয়েছে বিদেশ ভ্রমণও
করোনা আগেই বিদেশ ভ্রমণ বাতিল করা হয়েছে। যার ফলে মক্কা মদিনায় পর্যটন বন্ধ থাকায় এবং রাজস্ব না আসায় অর্থনীতিতে বড় ঝটকা পেয়েছে সৌদি সরকার। যেকারণেই সিটিজেন অ্যাকাউন্ট প্রোগ্রাম পরিষেবা থেকে নাগরিকদের বঞ্চিত করতে শুরু করেছে সৌদি সরকার।
চরমে পৌঁছেছে নাগরিক বিদ্বেষ
নাগরিকদের মধ্যে ক্ষোভ চরমে পৌঁছেছে। এই অবস্থায় যে কোন পরিস্থিতিতে নাগরিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে সরকার বিরোধী মনোভাব গড়ে তুলে বিক্ষোভে সামিল হতে পারে। যার ফলে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার মুখোমুখি বর্তমান দিনের সৌদি আরব। একবার এই যুদ্ধ শুরু হলে, একে থামানো অসম্ভব হয়ে পড়বে।