বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) ইস্যু সামনে আসার পর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন তৃণমূলের (All India Trinamool Congress) সাংসদ সৌগত রায় (Saugata Roy)। এর আগে তিনি দাবি করেছিলেন যে, শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলেই আছেন ওনার সাথে সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে। আর এর ঠিক পরের দিন শুভেন্দু অধিকারী বর্ষীয়ান এই তৃণমূল সাংসদকে ম্যাসজের মাধ্যমে জানিয়ে দেন যে, আর একসাথে কাজ করা সম্ভব নয়। আর এর কিছুদিন পরই শুভেন্দু বাবু বিধায়ক পদ আর তৃণমূল থেকে ইস্তফা দেন।সেদিন শুভেন্দু অধিকারী প্রমাণ করে দিয়েছিলেন যে, সৌগত রায় ওনাকে নিয়ে মিথ্যে কথা বলেছিলেন।
এরপর কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডুকে নিয়েও ঠিক একই দাবি করেন তৃণমূলের এই বর্ষীয়ান সাংসদ। সেদিনও তিনি জানান যে, বিশ্বজিৎ কুণ্ডু দল ছেড়ে যাচ্ছেন না, তিনি তৃণমূলেই থাকবেন। আর তার ঠিক একদিন পর সৌগত রায়ের কথাকে মিথ্যে প্রমাণ করে বিজেপিতে যোগ দেন কালনার তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু।
দুটো কথা মিথ্যে প্রমাণ হওয়ার পরেও দমেন নি তিনি। বাংলার রাজনীতিতে তিনি এখন গভীর ছাপ ফেলার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। আর সেই ক্রমেই তিনি আজ কাঁথিতে তৃণমূলের মিছিল থেকে দাঁড়িয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ আর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাদের হনুমানের সাথে তুলনা করতে চেয়েছেন। উনি বলেন, দিল্লী থেকে কিছু মানুষ হুপহাপ করে লাফিয়ে বাংলায় এসে পড়ছে।
এখানেই শেষ নয়, এরপর সৌগত বাবু বলেন ‘আরেকজন এসেছেন, নাকি যেন কি? কৈলাস! উনি এসে বলছেন কই লাশ? লাশ কই? এরপর মর্গের বেওয়ারিশ লাশকে তুলে নিয়ে এসে বিজেপির কর্মী বলছেন। গলায় দড়ি দিচ্ছে, আর বিজেপির শহীদ হয়ে যাচ্ছে। এরপর তিনি রাজ্যের বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষকে আক্রমণ করে ওনাকে মত্ত ষাঁড়ের সাথে তুলনা করেন। সৌগত রায় বলেন, সকাল বেলায় ঘুরতে বেরিয়ে যাকে তাকে গুঁতো দিয়ে দিচ্ছে। উনি আবার বলছেন তৃণমূলকে মারবে! আমি বলছি, তুই বাপের ব্যাটা হলে তৃণমূলের গায়ে হাত দিয়ে দেখা।
কাঁথি থেকে সৌগত রায়ের এহেন মন্তব্য শুনে বিজেপির নেতা মুকুল রায় বলেন, ‘এটা নতুন কিছু না ওনার মুখ আগাগোড়াই খারাপ। উনি মমতাকে নিয়ে কম বাজে মন্তব্য করেন নি। ৯৮ সালে আমি মমতাদির পাশে বসে আছি, তখন টিভিতে দেখি উনি মমতাদির পরিবারকে নিয়ে একের পর এক বাজে কথা বলছেন। কথাগুলো এতটাই বাজে ছিল যে, আমি সেটা মুখেও আনতে পারব না। আর এর ঠিক তিনবছর পর তিনিই আবার মমতাদির স্মরণে যান। এরাই আবার শুভেন্দুকে মীরজাফর বলছে!। ওনাকে নিয়ে শুধু এটুকুই বলতে পারি যে, মানুষটা দিনদিন নীচু মনোভাবের হয়ে যাচ্ছে।
বলে রাখি, এর আগে সেপ্টম্বর মাসে লোকসভায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের পোশাক নিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। আর সেই নিয়ে অনেক জলঘোলাও হয়।