বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (JP Nadda) গাড়ি ডায়মন্ড হারবারে ঢোকার মুখে হামলার শিকার হয়। এই ঘটনার পরিপেক্ষিতে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের কাছে সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসা করা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কি দরকার ছিল অভিষেকের কেন্দ্রে গিয়ে খোঁচা দেওয়ার? একটা বড় মিটিং করলেই তো হয়ে যেত, অনেক সময় মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ করে ফেলে।”
ওনাকে যখন প্রশ্ন করা হয় যে, বিজেপি অভিযোগ করে বলেছে যে, রাস্তায় পুলিশের তেমন কোনও নিরাপত্তা ছিল না। আর থাকলেও পুলিশের সামনেই কনভয়ে হামলা করা হয়। তখন সেই প্রশ্নের জবাবে সৌগত বাবু বলেন, ‘নাড্ডা দেশের প্রধানমন্ত্রী অথবা রাষ্ট্রপতি নন যে ওনার জন্য সারা রাস্তায় পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকবে। আর সেই কারণেই সব জায়গায় পুলিশ ছিল না, তাই এমন হয়েছে।” যদিও তিনি নাড্ডার কনভয়ে হামলা হওয়ার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
জানিয়ে দিই, বিজেপির সভাপতির গাড়ি ফলতা থানার অধীন দেবীপুরে হামলার শিকার হয়। এই ঘটনার পর রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে ফেসবুকে একটি পোস্ট করে বলা হয় যে, বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ের কিছু হয়নি। ওনার কনভয় ডায়মন্ড হারবারের সভাস্থলে নিরাপদে পৌঁছেছে।
পুলিশের তরফ থেকে ফেসবুকে একটি পোস্ট করে জানিয়েছে যে, ‘বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি, শ্রী জে. পি. নাড্ডা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের সভাস্থলে নিরাপদে পৌঁছেছেন। ওনার কনভয়ের কিছু হয়নি। ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার ফলতা থানার অন্তর্গত দেবিপুরে কিছু পথচারী বিক্ষিপ্তভাবে কনভয়ের পিছনের দিকের যানবাহনে পাথর ছোঁড়ে। প্রত্যেকে নিরাপদ রয়েছেন এবং পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ। প্রকৃত ঘটনা অনুসন্ধানের জন্য বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।”
শুধু তাই নয়, একটি বেসরকারি বাসের কাঁচও ভেঙে দেওয়া হয়। এই ঘটনার জেরে ডায়মন্ড হারবারের দেবীপুরে অরাজকতার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপির নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ভিডিও সমেত একটি ট্যুইট করেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় লিখেছেন, আমি আহত। দলের সভাপতির গাড়িতেও হামলা করা হয়েছে। আমি এই হামলার কড়া নিন্দা করি। পুলিশের সামনেই গুন্ডারা আমাদের উপর হামলা করে। ওদের এই বর্বরচিত কাজ দেখে মনে হল, আমরা মনে হয় আমাদের দেশেই নেই।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহও এই ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘তৃণমূল শাসনে বাংলায় অত্যাচার, অরাজকতা আর অন্ধকারের যুগ নেমে এসেছে। তৃণমূল রাজে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে যেভাবে রাজনৈতিক হিংসা চরম সীমায় পৌঁছে ছে, সেটা গণতান্ত্রিক মূল্যে বিশ্বাস করা মানুষের জন্য খুবই দুঃখজনক আর চিন্তাজনক।”