রেশন, নিয়োগ অতীত! এবার বালিখাদে দুর্নীতির অভিযোগ, ED তদন্তের হুঁশিয়ারি সৌমিত্রর

   

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভোট মিটতেই অ্যাকশন মুডে হাজির সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)। ইতিমধ্যেই উন্নয়নের কাজে নেমে পড়েছেন তিনি। ‘ডেভেলপমেন্ট ছাড়া আর কিছু ভাবব না’, স্পষ্ট বার্তা বিষ্ণুপুরের (Bishnupur) সাংসদের। এবার তিনিই সরব হলেন বালিখাদে দুর্নীতি নিয়ে। শুধু তাই নয়, ইডি তদন্তের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।

সৌমিত্রর দাবি, বালিখাদগুলিতে বড়রকমের দুর্নীতি চলছে। পাত্রসায়র, ইন্দাস, খণ্ডঘোষ এলাকায় বেআইনিভাবে বালি (Sand) তোলার খবর এসেছে তাঁর কানে। দিনকয়েক আগে গলসিতে দলীয় এক বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ। তারপরেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) এবং রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হলেন তিনি।

মাঝেমধ্যেই TMC-র বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সুর চড়াতে দেখা যায় বিরোধীদের। গরু পাচার, কয়লা পাচার থেকে শুরু করে বালি পাচার, একাধিক অভিযোগ তোলা হয়েছে জোড়াফুল শিবিরের বিরুদ্ধে। এবার যেমন ফের একবার সুর চড়ালেন বিষ্ণুপুরের BJP সাংসদ। তাঁর দাবি, যতটা গভীরে গিয়ে বালি তোলার নিয়ম, তার থেকে বেশি গভীরে গিয়ে বালি তোলা হচ্ছে। যে কারণে পার্শ্ববর্তী সেচের জল পেতে অসুবিধা হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ সামনেই হুড়মুড়িয়ে বাড়বে সরকারি কর্মীদের মাইনে, পকেটে আসবে কম করে ৮,৬৪০ টাকা

সৌমিত্র বলেন, এলাকার কুয়ো কিংবা টিউবওয়েলে জল পাওয়া যাচ্ছে না। যে কারণে প্রচুর টাকার রাজস্বের ক্ষতি হচ্ছে। তাই এবার সরাসরি আদালতে গিয়ে ED তদন্তের দাবি জানাবেন বলে জানিয়েছেন BJP-র এই হেভিওয়েট নেতা।

রবিবার জলের সংকট নিয়ে পথ অবরোধ করেন কুলটির BJP বিধায়ক। সেখানে সৌমিত্র অভিযোগ করেন, ‘ঝাড়খণ্ডের একটি চক্র এই বালি চুরির কাজ করছে। এলাকার মানুষ বালি পাচ্ছেন না। এদিকে বাইরে কোটি কোটি টাকায় সেই বালি বিক্রি হচ্ছে। লাখ লাখ টাকার পরিবর্তে ডিএস, এসপিরা বালিখাদানগুলিতে বালি লুঠ চালানোর পরোক্ষ অনুমতি দিচ্ছেন। এই সবকিছুর নেপথ্যে রাজ্যের শাসকদলের শীর্ষ নেতাদের হাত রয়েছে।

Saumitra Khan

বালিখাদানগুলিতে দুর্নীতির অভিযোগ এনে রাজ্যের শাসক দলের দিকে আঙুল তোলা হলেও TMC সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দেবু টুডু যেমন বলেন, অভিযোগ করলেই তো আর হয় না। এটা দেখার জন্য প্রশাসন রয়েছে। যদি কোনও রকম অনিয়ম হয় তাহলে তারা দেখবেন।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর