বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ডিয়ার লটারি (Dear Lottery) ইস্যুতে তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। একের পর এক তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা মন্ত্রীদের লটারিতে কোটি টাকা প্রাপ্তি ঘিরে তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা আর এর মাঝেই এবার তৃণমূল কংগ্রেস সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে বলছিলেন বিজেপির (BJP) সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)। তাঁর দাবি, “ডিয়ার লটারি থেকে মাসে ৪০ কোটি টাকা পান ভাইপো বন্দোপাধ্যায়।” সৌমিত্রবাবুর এহেন মন্তব্যকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বাংলায়।
উল্লেখ্য, এ বছরের শুরুর দিকে লটারি টিকিট কেটে এক কোটি টাকা জেতেন অনুব্রত মণ্ডল। বর্তমানে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এক্ষেত্রে লটারি টাকা প্রাপ্তি সত্য ঘটনা, নাকি এর পিছনে কালো টাকা সাদা করার চক্রান্ত রয়েছে, তা খুঁজে বের করতে তৎপর তারা আর একইসঙ্গে বর্তমানে তৃণমূল নেতার নামে আরো তিনটি লটারির টাকার খোঁজ পেয়েছে CBI।
সিবিআইয়ের দাবি, অনুব্রত কন্যার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অতীতে দুইবার লটারির টাকা ঢোকে। এক্ষেত্রে ২৫ লাখ এবং ২৬ লাখ সবমিলিয়ে ৫১ লক্ষ টাকা ঢোকে তাঁর অ্যাকাউন্টে। শুধু তাই নয়, ২০১৯ সালে অনুব্রতর অপর একটি অ্যাকাউন্টে ১০ লক্ষ টাকা ঢুকেছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। এক্ষেত্রে একটি পরিবারে এতবার লটারির টাকা জেতা নিয়ে ইতিমধ্যে সৃষ্টি হয়েছে বিস্তর জল্পনার আর এর মাঝেই বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-র বক্তব্যে শোরগোল ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র।
এদিন সৌমিত্র খাঁ বলেন, “ডিয়ার লটারি থেকে ভাইপো বন্দ্যোপাধ্যায় ১০ কোটি টাকা তোলা তোলেন প্রতি সপ্তাহে।” অর্থাৎ তাঁর দাবি অনুযায়ী, মাসে ৪০ কোটি টাকা করে পান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি সাংসদদের এই মন্তব্য কতটা সঠিক, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোন ধারণা না মিললেও তাঁর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে সরগরম হয়ে উঠেছে গোটা বাংলা।
একদিকে যখন অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর মেয়ের নামে একের পর এক লটারির টাকার সন্ধান পেয়ে চলেছে তদন্তকারী অফিসাররা, আবার অপরদিকে সম্প্রতি আরো বেশ কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা-মন্ত্রী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদেরও নামে লটারির টিকিট কেটে কোটি টাকার প্রাপ্তির ঘটনা সামনে এসেছে। এই ঘটনায় কলকাতার এক তৃণমূল বিধায়কের স্ত্রীকে ইতিমধ্যে ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই আর এর মাঝে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্যুতে সৌমিত্রবাবুর মন্তব্য রাজনৈতিক বিতর্ক আরো বৃদ্ধি করবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।