বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রামপুরহাট গণহত্যা কাণ্ড নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরেই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। সেই উত্তেজনার উত্তাপ যে বিধানসভাতেও ছড়াবে তেমনটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সোমবার বিধানসভার নাটকীয়তা ছাড়িয়ে গেল যেন ছায়াছবির প্লটকেও৷ তৃণমূলের বিধায়কদের সঙ্গে বিজেপি বিধায়কদের হাতাহাতিতে রক্তে ভিজল বিধানসভা। নাক ফাটল এক তৃণমূল বিধায়কের। অভিযোগ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীই মেরে নাক ফাটিয়ে দিয়েছেন ওই তৃণমূল বিধায়কের। আপাতত এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন তিনি।
সোমবার সকাল থেকেই বিধানসভায় চড়তে থাকে উত্তেজনার পারদ৷ বগটুই গণহত্যা কাণ্ডের প্রতিবাদে বিধানসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা। স্পিকার তাঁদের আটকানোর চেষ্টা করলে রোষের মুখে পড়তে হয় তাঁকেও। এরপরই জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে দিতে বিধানসভা ছেড়ে বেরিয়ে যান বিজেপি বিধায়করা। তারপরই তৃণমূল বিধায়ককের সঙ্গে হাতাহাতি বাঁধে বিজেপি বিধায়কদের।
সেই ধস্তাধস্তিতে জামা ছিঁড়ে যায় বিজেপির পারিষদীয় দলনেতা মনোজ টিগ্গার। চশমা ভেঙে যায় এক বিধায়কের। নাক ফেটে রক্তারক্তি বাঁধে চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের। অসিতবাবুর সরাসরি অভিযোগ, বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীই মেরে নাক ফাটিয়ে দিয়েছেন তাঁর। আপাতত এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে আহত তৃণমূল নেতার।
এবার এই আঁচ ছড়িয়ে পড়ল দিল্লিতেও। সংসদ চলাকালীন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ রাজ্যে ৩৫৫ ধারা লাগু করার দাবি তোলেন। তিনি বলেন, ভারতের ইতিহাসে এমন নজির কোথাও নেই। কোনও বিধানসভাতেই অধিবেশন চলাকালীন বিরোধীদলের উপর এভাবে হামলা করা হয়নি। তিনি জড় গলায় লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে রাজ্যে ৩৫৫ ধারা লাগু করার দাবি জানান।
বলে দিই, ৩৫৫ ধারা হল রাজ্যেকে আগ্রাসান ও গোলযোগ থেকে রক্ষা করার দায়িত্ব কেন্দ্রের। রাজ্য যাতে সংবিধান মেনে চলে, সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব কেন্দ্রের। পশ্চিমবঙ্গে অভ্যন্তরীণ গোলযোগ তৈরি হলে তা থেকে রাজ্যকে রক্ষা করতে চাইলে কেন্দ্র হস্তক্ষেপও করতে পারে।