বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আগামী মাসেই দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই বঙ্গ বিজেপির হয়ে পাঁচ শীর্ষ নেতৃত্ব দিল্লি গিয়েছেন প্রচার করতে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম পশ্চিমবঙ্গের বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)। প্রতিনিয়ত তাঁরই উদ্যোগে একটু একটু করে সেজে উড়ছে গোটা বিষ্ণুপুর। প্রতিশ্রুতি মতোই এলাকাবাসীর জন্য ঢালাও কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সূচনা করছেন তিনি।
দুর্গাপুর-বেলিয়াতোড় রেল লাইন নিয়ে বিরাট সুখবর দিলেন সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)
প্রতিশ্রুতি মতোই এলাকাবাসীর জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও মসৃণ করে তুলতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের কাছে বেলিয়াতোড় থেকে দুর্গাপুর পর্যন্ত নতুন রেলপথ তৈরি করে দেওয়ার প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)। গত বছরের শেষেই বঙ্গ বিজেপির এই দাপুটে নেতার আবেদনে সাড়া দিয়েছিলেন কেন্দ্রের মোদি সরকার। তারপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বিষ্ণুপুরের সাংসদ জানিয়েছিলেন রেল মন্ত্রকের তরফে তাঁকে জানানো হয়েছে তাঁর প্রস্তাবিত বেলিয়াতোড় থেকে দুর্গাপুর পর্যন্ত নতুন রেলপথ তৈরির কাজ খুব তাড়াতাড়ি শুরু হবে।
বেলিয়াতোড় থেকে দুর্গাপুর পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ করার জন্য সমীক্ষার কাজেও হাত দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। আর এবার বাংলার এই নতুন রেলপথ নির্মাণ নিয়ে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সাথে দেখা করলেন সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)। প্রসঙ্গত দুর্গাপুর থেকে বাঁকুড়া পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের দাবি বহুদিনের। ইতিমধ্যেই এই রুটে রেললাইন পাতার জন্য সমীক্ষাও শুরু হয়েছে বলেই দাবি করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সাথে দেখা করে সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan) এদিন জানিয়েছেন, ‘মাননীয় শ্রী নরেন্দ্র মোদীজি’র ছত্র ছায়ায় প্রত্যেকটি উন্নয়নমূলক কাজ দ্রুততার সাথে এগোবে এবং সম্পন্ন হবে। আজ শ্রদ্ধেয় কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সাথে আমি দেখা করেছি। ওনার সাথে বেলিয়াতোড় থেকে দুর্গাপুর পর্যন্ত নতুন রেলপথ তৈরির কাজ নিয়ে কথা হয়েছে। উনি আমাকে কথা দিয়েছেন আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এই রেল প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে।’
আরও পড়ুন: ‘গাফিলতি প্রমাণ হলেই …’, ‘বিষাক্ত’ স্যালাইন কাণ্ডে ছাড় নেই! কী বললেন অভিষেক?
চলতি বছরের শুরুতেই বাংলার এই রেল প্রকল্পের বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল। সেখানে বেলিয়াতোড় এবং দুর্গাপুরের অর্থনৈতিক গুরুত্বের কথা তুলে ধরে বলা হয়েছিল এই এলাকায় উপযুক্ত রেল পরিবহন ব্যবস্থা না থাকায় এখানকার মানুষদের বিরাট সমস্যার মুখে পড়তে হয়। আর এই এলাকায় যাতায়াতের একমাত্র উপায় সড়ক পরিবহণ ব্যবস্থা। যা শুধু সময় সাপেক্ষই নয় একইসাথে ব্যয়বহুল। এই আবহে বাঁকুড়ার সঙ্গে দুর্গাপুরকে জুড়ে দিয়ে রেললাইন তৈরির দাবি উঠেছে।
উল্লেখ্য বেলিয়াতোড় থেকে দুর্গাপুরের দূরত্ব প্রায় ২৮ কিলোমিটার। এই রুটে দ্রুত রেল চলাচল শুরু হলে ৩০ লক্ষ মানুষ সরাসরি উপকৃত হবেন। তাছাড়া এই প্রকল্প চালু হলে তা নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রেও বিশেষভাবে শক্তি যোগাবে। কারণ এই এলাকায় অনেক কর্মরত মহিলাও রয়েছেন।