বাংলা হান্ট ডেস্ক: দীর্ঘ কয়েক মাসের অক্লান্ত পরিশ্রমের পাশাপাশি একটানা প্রচার; প্রার্থীদের রীতিমতো নাওয়া খাওয়ার সময়ও ছিল না। অবশেষে আজ যেন শেষ হল একটা বড় যুদ্ধ। তবে, আজকের দিনটাও যে বিরাট স্বস্তির ছিল তা কিন্তু নয়। ভোটগণনা শুরু হতেই প্রতিমুহূর্তে উত্তেজক পরিস্থিতির তৈরি হয়েছিল। আমরা যদি বিষ্ণুপুর (Bishnupur) আসনের দিকেই তাকাই তাহলেই দেখা যাবে যে কখনও সেখানে এগিয়েছিলেন সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan), আবার কখনও তাঁকে টেক্কা দিচ্ছিলেন সুজাতা মণ্ডল (Sujata Mondal)।
মুহূর্তের মধ্যেই পাল্টে যাচ্ছিল সামগ্রিক পরিস্থিতি। আর এইভাবেই দিনভর টানটান উত্তেজনা বজায় থাকল বিষ্ণুপুর আসনে। শুধু তাই নয়, প্রাক্তন দম্পতি সৌমিত্র এবং সুজাতার মধ্যে হল হাড্ডাহাড্ডি লড়াইও। যদিও, দিনের শেষে শেষ হাসি হাসলেন সৌমিত্র। ফলাফল অনুযায়ী লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হলেন তিনি। তবে, ২০১৯ সালের তুলনায় ব্যবধান অনেকটাই কমেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সুজাতার চেয়ে ১০ হাজারেরও কম ভোটে জয়লাভ করেছেন সৌমিত্র।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, লোকসভা নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে প্রথম থেকেই সৌমিত্র আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। পাশাপাশি, তাঁর প্রচারে এসেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। যেখানে নরেন্দ্র মোদী সবার কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁর প্রতিনিধি সৌমিত্রকে জয়ী করে দিল্লিতে পাঠানোর। অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর সেই ইচ্ছেপূরণ করলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিনামূল্যে রেশন থেকে মোদীর গ্যারান্টি! রাম মন্দিরও দিলনা ভরসা, এই ৫ কারণে “ফেল” বিজেপি
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, সৌমিত্র এবং সুজাতার সংসার ভেঙে যাওয়ার পরে তাঁরা তুমুল সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন দিক থেকে তাঁদের উদ্দ্যেশ্যে হয় কাদা ছোড়াছুড়ি। এদিকে, নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণার সময়ে তৃণমূলের তরফে বিষ্ণুপুরে প্রার্থী করা হয় সুজাতাকেই। যেটি নিঃসন্দেহে চমকে দিয়েছিল সবাইকে।
আরও পড়ুন: নীতীশ কুমার পাল্টি মারলে হবে না বিজেপির গভর্মেন্ট? জেনে নিন সম্পূর্ণ সমীকরণ
এমতাবস্থায়, বিষ্ণুপুর আসনের দিকে প্রথম থেকেই নজর ছিল সকলের। পাশাপাশি, প্রত্যেকেই মনে করেছিলেন যে এই আসনে হবে কড়া টক্কর। যেটি ভোটের ফলাফলের দিন রীতিমতো স্পষ্ট হয়ে গেল। তবে, শেষ পর্যন্ত সৌমিত্রর সৌজন্যে বিষ্ণুপুর থেকেই আরও একটি আসল হাসিল করে নিল বিজেপি।