বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: তৃতীয় দিনে অনেক প্রচেষ্টার পর অবশেষে অলআউট হলো সৌরাষ্ট্র। রঞ্জি ট্রফি ফাইনালের (Ranji Trophy Final) প্রথম দুই ইনিংসের পর আপাতত ২৩০ রানে পিছিয়ে আছে মনোজ তিওয়ারিরা। এখান থেকে কোনও মিরাকেল ছাড়া বাংলার (Bengal Ranji Team) পক্ষে জেতা খুব মুশকিল। বাংলার পক্ষে একমাত্র ইতিবাচক দিক হলো যে তারা ঘরের মাঠে খেলছে এবং সারাক্ষণ সমর্থকরা তাদের চাগিয়ে যেতে পারবেন।
কাল বাংলাকে দীর্ঘক্ষন বেগ দেওয়া অর্পিত ভাসাভডাকে ৮১ রানের ব্যক্তিগত করে ড্রেসিংরুমে ফিরিয়েছেন মুকেশ কুমার। এরপর অর্পিতের সাথে ১১৪ রানের পার্টনারশিপ গড়া চিরাগ জানিকে ৬০ রানের ব্যক্তিগত স্কোরে ড্রেসিংরুমে ফেরত পাঠান সেই মুকেশই। কিন্তু ততক্ষণে সৌরাষ্ট্রের স্কোর পৌঁছে গিয়েছিল ৩৪৩ অবধি।
এরপর সৌরাষ্ট্রের অধিনায়ক জয়দেব উনদকাটকে ড্রেসিংরুমে ফেরত পাঠান আকাশদীপ। এরপর প্রেরক মানকড-কে ৩৩ রানের ব্যক্তিগত স্কোরে আউট করেন মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে ম্যাচের সেরা হওয়া বোলার। কিন্তু এরপর বাংলা ফির বিপাকে পড়ে যায় যখন শেষ উইকেটে ৩৫ রানের পার্টনারশিপ গড়ে যান ধর্মেন্দ্র জাদেজা ও পার্থ ভুত।
শেষপর্যন্ত ঈশান পোড়েলের বলে জাদেজার দুরন্ত ক্যাচ নিয়ে তাকে ড্রেসিংরুমে ফেরান চোট পাওয়া সুদীপ কুমার ঘরামির জায়গায় ফিল্ডিং করতে নামা করন লাল। মুকেশ কুমার বাংলার হয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ৩ টি করে উইকেটে নিয়েছেন আকাশদীপ এবং ঈশান। কিন্তু অত্যন্ত অনিয়ন্ত্রিত বোলিং করে সৌরাষ্ট্রের দ্রুতগতি তার আন্তলার ক্ষেত্রে সুবিধা করে দিচ্ছিলেন ঈশান।
বাংলাকে জিততে হলে অন্তত ৪০০ রানের কাছাকাছি স্কোর তুলতে হবে তৃতীয় এবং চতুর্থ দিন মিলে। তারপর পঞ্চম দিনে সৌরাষ্ট্রকে অলআউট করার মরিয়া চেষ্টা করতে হবে বাংলার বোলারদের। তবে সেই কাজ প্রায় অসম্ভবের শামিল। ইডেনে কি রূপকথা লিখতে পারবে মনোজরা?
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা