বাংলাহান্ট ডেস্ক: সৌরভ দাস (Saurav Das), নাম তো শুনেইছেন। অভিনয়ও দেখেছেন নিশ্চয়ই। মন্টু পাইলট, গুটি মল্লার, রুদ্রবীণার অভিশাপ, তাঁর জনপ্রিয় কাজের সংখ্যা কম নয়। তিনি যেটাতেই হাত দেন সেটাই হিট। এমনিতে খুব মজার মানুষ সৌরভ, প্রাণখোলা। মানুষকে হাসাতে ভালবাসেন। কিন্তু ক্যামেরা শুরু হলেই তিনি অন্য মানুষ। চরিত্রের মধ্যে সম্পূর্ণ ভাবে ঢুকে যান।
এহেন সৌরভ যে ছোটবেলায় অত্যন্ত ‘বিচ্ছু’ ছিলেন তা কি জানতেন? সম্প্রতি ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’এ এসে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দেন অভিনেতার মা। ছেলের স্কুল জীবনের সমস্ত কীর্তির কথা ফাঁস করে দিয়েছেন তিনি। নবম শ্রেণিতে নাকি স্কুল থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল সৌরভকে। শেষমেষ তাঁর বাবা স্কুলের প্রিন্সিপালের হাতে পায়ে ধরে সে যাত্রা রক্ষা করেন ছেলেকে।
সৌরভের মা অজন্তা দাস জানান, সঙ্গে করে চিনির কৌটো নিয়ে এসেছেন তিনি। কারণ ছেলের ছোটবেলার কথা মনে পড়লেই তাঁর সুগার লেভেল কমতে থাকে। শুধু সুগার নয়, প্রেশার, কোলেস্টেরল সবের রোগী হয়ে গিয়েছেন তিনি ছেলের জন্য। সৌরভ একেবারেই পড়ায় মনোযোগী ছিলেন না। তাই তিনি যতক্ষণ পড়তেন ততক্ষণ তাঁর উপরে নজর দিয়ে রাখতে হত। চোখ সরালেই খেলতে বসে যেতেন সৌরভ।
শহরের এক নামজাদা স্কুলে পড়েছেন তিনি। নবম শ্রেণিতে নাকি স্কুলের প্রিন্সিপাল ডেকে পাঠিয়েছিলেন সৌরভের বাবাকে। অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তাঁর ছেলের মাথায় নাকি গিজগিজ করছে কুবুদ্ধি। অন্য ছেলেদের নষ্ট করে দিচ্ছে সৌরভ। তাই স্কুল থেকে তাঁকে তাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সৌরভের রেলের অফিসার বাবা সে দিন প্রিন্সিপালের পায়ে ধরে ছেলেকে বাঁচিয়েছিলেন। অভিনেতার মা জানান, সৌরভের দৌরাত্ম্যে রীতিমতো তটস্থ হয়ে থাকতে হত তাঁদের। অন্যদিকে তাঁর মেয়ে সম্পূর্ণ উলটো মেরুর, শান্ত, মেধাবী। অবশ্য সৌরভ নিজের গুণে মুখ উজ্জ্বল করেছেন বাবা মায়ের। ওই স্কুলই এখন সৌরভকে ডেকে সম্বর্ধনা দিয়েছে।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা