বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একুশের বিধানসভা নির্বাচনে দক্ষিণ আসানসোল কেন্দ্র থেকে অগ্নিমিত্রা পালের বিরুদ্ধে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। তবে তার প্রচার এবং মানুষের কাছে যাওয়া সকলের মন কেড়ে নিয়েছে বারবার। অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান যেকোনো মাত্রা দিয়েছে তা বলাই বাহুল্য। যদিও যথেষ্ট চেষ্টা করার পরেও অগ্নিমিত্রা বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারেননি সায়নী। বিজেপির দাপুটে নেত্রী অগ্নিমিত্রা কাছে চার হাজারের কিছু বেশি ভোটে হেরে যান তিনি। ২০১৬ সালে এই বিধানসভার দখল ছিল তৃণমূলের হাতেই। বিধায়ক হয়েছিলেন তাপস ব্যানার্জি। কিন্তু ১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ছবিটা বদলায়। প্রথমবার আসানসোল থেকে সাংসদ হয়ে দিল্লি পৌঁছান বাবুল সুপ্রিয়।
সেই থেকেই বিজেপির গড়ে পরিণত হয়েছিল আসানসোল। তাই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পরেও শেষ পর্যন্ত জয় আনতে পারেনি তৃণমূল। তবে সায়নীর এই প্রচেষ্টার মূল্য দিল দল। আজ কোর কমিটির বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যুব সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার জায়গায় দলের নতুন যুব সভাপতি হচ্ছেন যুব নেত্রী সায়নী ঘোষ।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে উন্নিত করা হয়েছে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে। রাজ্যের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে এদিন বৈঠকে বসেছিলেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই একপদ এক ব্যক্তি এই সিদ্ধান্ত মাথায় রেখে যুব সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ান অভিষেক। অনেকেই মনে করছেন আগামী ২০২৪ নির্বাচনে অভিষেকের কাঁধে থাকতে পারে বড় দায়িত্ব আর সেই কারণেই এত বড় পদে উন্নীত করা হলো তাকে।
নির্বাচনী প্রচারে যথেষ্ট বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে বারবার ভাইপো বলে কটাক্ষ করলেও দলকে চাঙ্গা করে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই দিতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। আর তাই এবার দলের বড় দায়িত্বভার তুলে দেওয়া হল তার কাঁধে। এছাড়া প্রশাসনিক পদে বড় রদবদল করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা সভাপতি বদলেছে প্রায় নটি জেলায়। রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে কুণাল ঘোষকে। তবে সায়নী ঘোষের এই উত্তরনের মধ্যে তার দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক কেরিয়ার দেখছেন অনেকেই।