‘যতবার ডাকবে ততবার যাব’ বলেও দ্বিতীয়বারেই ED জেরা এড়ালেন সায়নী! দানা বাঁধছে রহস্য

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চর্চার শিরোনামে এখন অভিনেত্রী তথা যুব তৃণমূল (Trinamool Congress) সভানেত্রী সায়নী ঘোষ (Sayani Ghosh)। নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের সূত্র ধরে গত সপ্তাহে ইডি (ED) জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়ে সায়নী। টানা ১১ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ফের ৫জুলাই বুধবার নেত্রীকে সমন পাঠিয়েছিল ইডি। সত্যিই ফের আজ ইডির মুখোমুখি হবেন সায়নী? এই নিয়েই জোর জল্পনা চলছিল। তবে এরই মধ্যে জানা গেল, আজ ইডি দফতরে যাবেন না সায়নী ঘোষ।

সূত্রের খবর, নিজে না গেলেও মেইল করে ইডি দফতরে নিজের হাজিরা না দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। তবে যে নথি তার কাছ থেকে চাওয়া হয়েছিল, সেই নথি তিনি পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, আজ ইডির কাছে মোট ৫৩০ পাতার নথি পাঠিয়েছেন নেত্রী।

সূত্রের খবর, আজ ইডিকে মেইল করে তৃণমূল যুব সভানেত্রী জানিয়েছেন ভোটের প্রচারে পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে যাওয়ার কথা তার। তাই পঞ্চায়েতের আগে ভোটের প্রচারে ব্যস্ত থাকার কারণেই আজ হাজিরা দিতে যেতে পারছেন না তিনি। তবে ফোনে তাকে যোগাযোগ করা যাবে। সায়নী আরও জানিয়েছেন, ভোট হয়েছে যাওয়ার পর তদন্তের স্বার্থে তাকে যেকোনও সময় যেকোনও জায়গায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকলে হাজির হবেন তিনি।

প্রসঙ্গত এদিন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) আভাস দিয়ে বলেছিলেন, ইডির দফতরে হাজিরা দেবেন না সায়নী। কুণাল জানান, তিনি যতদূর জানেন যে আজকে ইডির দফতরে যাচ্ছেন না সায়নী। তিনি বর্ধমানের গলসির দিকে প্রচারে যাচ্ছেন। প্রসঙ্গত, আজ ১১ টার সময় ইডির দফতরে যাওয়ার কথা ছিল নেত্রীর।

sayani ed

যদিও এর আগে প্রথম দিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষেই সায়নী বলেছিলেন, ‘৫ জুলাই আবার সশরীরেই হাজিরা দেব। যতবার ডাকবে ততবার যাব । যারা চুরি করে তারা পালিয়ে বেড়ায়। আমি কেন পালিয়ে বেড়াব? ভোটের প্রচারের মুখে বার বার ডাকায় অসুবিধা তো হচ্ছে। কিন্তু কী করব?”

নেত্রী আরও বলেছিলেন, “আমি একা নই। দলের অনেক নেতাকেই এই পরিস্থিতি ফেস করতে হয়েছে। একটা বড় শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেলে এরকম পরিস্থিতি আসেই। দল পাশে আছে। আরও কিছু নথি বাকি রয়ে গিয়েছে। নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।” তবে প্রচারের কারণে আজ ইডি দফতরে তিনি যাচ্ছেন না বলেই জানা গিয়েছে।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর