বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই রাজ্যের দু’টি আসনে বিধানসভা উপনির্বাচনও হয়েছিল। বরানগর এবং ভগবানগোলা দুই কেন্দ্রেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল। এরপর কেটে গিয়েছে প্রায় এক মাস। এতদিন ধরে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Sayantika Banerjee) এবং রেয়াত হোসেন সরকারের শপথ নিয়ে জটিলতা চলছিল। অবশেষে শুক্রবার শপথ নিলেন দু’জনে।
শপথ নিলেন রেয়াত-সায়ন্তিকা (Sayantika Banerjee)
বরানগর এবং ভগবানগোলা উপনির্বাচনে দুই জয়ী প্রার্থীর শপথ নেওয়া নিয়ে রাজ্য বিধানসভা বনাম রাজ্যপালের নজিরবিহীন সংঘাতের সাক্ষী থেকেছে বাংলা। সেই জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে এদিন শপথবাক্য পাঠ করলেন রেয়াত (Reyat Hossain Sarkar) এবং সায়ন্তিকা (Sayantika Banerjee)। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন তাঁদের শপথবাক্য পাঠ (TMC MLA Oath) করেন। বিজেপি এই অধিবেশন বয়কট করে।
গত ৪ জুন লোকসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণার সঙ্গে রাজ্যের দুই বিধানসভা উপনির্বাচনের (Assembly By Elections) রেজাল্টও ঘোষণা করা হয়। এরপরেই শুরু হয় ‘সংঘাত’। রাজভবনের তরফ থেকে তৃণমূলের (Trinamool Congress) দুই জয়ী প্রার্থীকে চিঠি পাঠানো হয়। সায়ন্তিকা সেই চিঠি পেলেও রেয়াত সেই চিঠি পাননি বলে দাবি করেন। অন্যদিকে বরানগরের জয়ী তৃণমূল (TMC) প্রার্থী সায়ন্তিকা রাজভবনে গিয়ে শপথবাক্য পাঠ করায় আপত্তি জানান। এর বদলে রাজ্য বিধানসভায় শপথ গ্রহণের আর্জি জানিয়ে একের পর এক চিঠি পাঠানো শুরু হয়।
আরও পড়ুনঃ ২ জনই ঘুরিয়ে দিল ‘খেলা’! কয়লা পাচার মামলায় নয়া মোড়, তোলপাড় বাংলা!
জটিলতা কাটাতে আসরে নামেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান। বারবার রাজ্যপালকে অনুরোধ করেন তিনি। কিন্তু তাতেও তেমন সুরাহা হয়নি। শেষ অবধি বৃহস্পতিবার ২৪ ঘণ্টার নোটিশে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা জানানো হয়। আজ সেই অধিবেশনেই শপথবাক্য পাঠ করেন রেয়াত-সায়ন্তিকা।
এদিন বিধানসভার স্পিকার বলেন, ‘১৮৮ ধারা অনুযায়ী শপথ নিতে হয়। স্পিকারের সামনে বিধানসভায় শপথ নেন বিধায়করা, এটাই রীতি। তবে ওই দু’জনের ক্ষেত্রে দেখা গেল, রাজভবনে একাধিকবার জানানো সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হল না। আমি এখানে অসহায়। শপথ রীতি অনুসারে তা বিধানসভায় হওয়ার কথা। ওই দু’জনও রাজ্যপালকে সেটাই জানিয়েছিলেন’। উল্লেখ্য, গতকাল সন্ধ্যায় রাজভবনের তরফ থেকে ডেপুটি স্পিকারকে সায়ন্তিকা এবং রেয়াতকে শপথবাক্য পাঠ করানোর নির্দেশ দেন। স্পিকার সেই অনুমতি দিলেও, ডেপুটি স্পিকার নিজে বারণ করেন।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘যে সভায় স্পিকার রয়েছেন সেখানে আমি শপথ নেওয়ার অসৌজন্য বা ধৃষ্টতা দেখাতে পারব না। আমি আপনাকে শপথবাক্য পাঠ করানোর অনুরোধ করছি’। সেই অনুযায়ী এদিন সায়ন্তিকা-রেয়াতকে শপথবাক্য পাঠ করান স্পিকার। বিধানসভায় শোনা যায় ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি। দীর্ঘ জটিলতা শেষে অবশেষে বিধায়ক হিসেবে শপথ নেন তৃণমূলের দুই জয়ী প্রার্থী।