বাংলাহান্ট ডেস্ক: ক্যামেরার সামনে দীর্ঘদিন হল দেখা যায় না তাঁকে। তার বদলে রাজনীতিতেই মন দিয়েছেন তিনি। সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Sayantika Banerjee), তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদিকার পদ পেয়েছেন এখন তিনি। বিরোধী দলের উদ্দেশ্যে প্রায়ই চোখা চোখা কটাক্ষ ছুঁড়তে দেখা যায় তাঁকে। সম্প্রতি বাঁকুড়া গিয়েছিলেন সায়ন্তিকা। মঞ্চ থেকেই ফের কড়া বার্তা দিলেন নেত্রী।
বাঁকুড়া ১ নম্বর ব্লকের কল্যাণপুর গ্রামে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন সায়ন্তিকা। মঞ্চ থেকে এক ঢিলে কার্যত দুই পাখি মারেন তিনি। একসঙ্গে দলের বিক্ষুব্ধ নেতাদের পাশাপাশি বিরোধী দলকেও সতর্ক করে দেন সায়ন্তিকা। নাম না করে কটাক্ষ ছোঁড়েন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও।
বিজেপি নেতাকে ‘বেইমান’ বলে খোঁচা মেরে সায়ন্তিকা বলেন, দাদার অনেক অনুগামী ছিল। সেই অনুগামীরা এখন তাঁকে সমঝে চলে। কারণ তারাও জেনে গিয়েছে যে তৃণমূল এখন দুধ কলা দিয়ে কালসাপ পোষা বন্ধ করে দিয়েছে। সায়ন্তিকার স্পষ্ট কথা, এখন কালসাপ দেখলে বিষদাঁত উপড়ে ঝুড়িতে ভরে বাংলা থেকে বিদায় দিয়ে গুজরাটে নিয়ে গিয়ে ফেলব।
এখানেই থামেননি সায়ন্তিকা। কারোর নাম না করেই তিনি বলেন, দলের মধ্যে দাদার অনুগামী এখনো রয়েছে। তাদের আবেগ নিয়ন্ত্রণে থাকলে ভাল, নয়তো দল থেকে দূর করে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে সায়ন্তিকার হুঙ্কার, বাঁকুড়ার দিকে চোখ তুলে তাকানোর আগে কম সে কম পাঁচ বার ভাববে। কারণ এখানে সায়ন্তিকা আছে’।
সায়ন্তিকার বেনজির কটাক্ষের পালটা বিজেপির খোঁচা,
এসব ফিল্মি ডায়লগে কোনো কাজের কাজই হবে না। বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা বলেন, এর জবাব বাঁকুড়ার মানুষ আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনেই দেবে।
উল্লেখ্য, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে আগেও খড়গহস্ত হতে দেখা গিয়েছে সায়ন্তিকাকে। দলীয় কর্মসূচির মঞ্চ থেকেই তিনি বলেছিলেন, মুসলমান পরিবারে সন্তান জন্মালে যেমন তার নাম কখনো মীরজাফর রাখা হয় না, তেমনি আগামী দিনে হিন্দু পরিবারে পুত্রসন্তান জন্মালে তার নাম যেন শুভেন্দু না রাখা হয়। কারণ দুধকলা দিয়ে কালসাপ অনেক পোষা হয়েছে। এবার থেকে কালসাপ দেখলেই আগে বিষদাঁত ভাঙতে হবে, তারপর বিদায় করা হবে।