বাংলাহান্ট ডেস্ক : রানাঘাটের রানু মণ্ডল হতে নারাজ মালদহের সায়ন্তিকা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে বাড়ি ফেরার পর সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছে সে। কিন্তু ব্যাপারটা ঠিক কী?
গতকালই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছে মালদহের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী সায়ন্তিকা দাস। তারপর থেকেই তাকে ঘিরে লেগেই রয়েছে সাংবাদিকদের ভীড়। কিন্তু বয়সে ছোট হলেও বুদ্ধিতে যে সে মোটেই ছোট নয় তার প্রমাণ মিলল বছর আটেকের সায়ন্তিকার কথাতেই। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নবাণের মুখে পড়েও মোটেই ঘাবড়াতে দেখা গেল না তাকে। উলটে সে সাফ জানালো ভুলভাল কোনও কথা বলে ‘রানাঘাটের রানু মণ্ডল’ হতে মোটেই রাজি নয় সে।
বৃহস্পতিবার রাতেই কলকাতা থেকে মালদহে নিজের বাড়িতে ফিরেছে সায়ন্তিকা। এদিন বাড়িতেই সংবাদমাধ্যমকে সে জানায়, ‘আমি কোনও ভুলভাল কথা বলে রানাঘাটের রানু মণ্ডল হতে চাই না। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে খুব খুশি হয়েছি। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী আমাকে তাঁর লেখা বই, পেন, অনেক উপহার দিয়েছেন। আমিও তাঁকে আমসত্ত্ব এবং একটি আমগাছ দিয়েছি। আমি পড়াশোনা শিখে আইএএস অফিসার হতে চাই। সেটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছি।’
বৃহস্পতিবার কলকাতা এসে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেই তাঁর সঙ্গে দেখা করে সায়ন্তিকা। তার সঙ্গে ছিল আমসত্ত্ব, আচার এবং একটি আমগাছের চারা। প্রথমে মালদহ থেকে সাইকেল চালিয়েই কলকাতা আসার কথা ছিল তার। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই ট্রেনে করে কলকাতা আসার ব্যবস্থা করে দেয় মালদহ জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকালে শিয়ালদহে নেমে সেখান থেকেই বাকি পথ সাইকেল চালিয়ে কালীঘাটে পৌঁছায় এই স্কুলছাত্রী। ঘন্টাদুয়েক সময়ও কাটায় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে। তার উপহার দেওয়া আমগাছটিকে তৎক্ষনাৎই বাড়ির উঠোনে পুঁতে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে সায়ন্তিকার পড়াশোনার সমস্ত দায়িত্বও নিয়েছেন তিনি।