বাংলাহান্ট ডেস্ক : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাতে ব্যাগে আচার, আমসত্ত্ব নিয়ে মালদহের ইংরেজবাজার থেকে কালিঘাটের উদ্দ্যেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিল বছর আটেকের সায়ন্তিকা। অবশেষে আজই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে এসে পৌঁছালো সে। মালদহ থেকে ট্রেনে শিয়ালদহ এসে সেখান থেকে সাইকেলে করেই সে পৌঁছায় কালিঘাটে।
বাড়ির উঠোনে সায়ন্তিকার সাইকেলের আওয়াজ পেয়েই ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গাল টিপে দেন ক্লাস টুয়ের খুদের। একটি সঙ্গে তাকে চকোলেট, নিজের লেখা বই এবং একটি বিশ্ববাংলার ব্যাগও উপহার দেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর সংবাদমাধ্যমে সায়ন্তিকা জানিয়েছে, ‘আমি মালদা থেকে সাইকেল চালিয়ে শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। উনি আমাকে নিজের হাতে বই উপহার দিলেন। শুনেছিলাম মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মেয়েদের খুব ভালোবাসেন। আমি ২০২৪ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাই। উনি প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের সব মেয়েদেরই উপকার হবে।’ এদিন ট্যুইট করে নিজের প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মতে, ‘ আমি সায়ন্তিকার সঙ্গে দেখা করে অত্যন্ত আনন্দিত। তার মতন বাচ্চা এবং কিশোরী মেয়েরাই রাজ্যকে বৃহত্তর ক্ষেত্রে সাফল্যের শিখরে নিয়ে যাবে। এরাই বাঙালির গর্ব।’
উল্লেখ্য, মালদার ইংরেজবাজার এলাকায় ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সায়ন্তিকা। স্থানীয় বিভূতিভূষণ হাইস্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে সে। বাবা প্রদীপ দাস পেশায় গাড়িচালক। সায়ন্তিকার দুই দিদি দিয়া এবং পাপিয়া এম.এ এবং বি.এ এর ছাত্রী। গাড়ি চালানোর সামান্য রোজগারে সংসার চালিয়ে তিন মেয়ের পড়াশোনার খরচ চালানো যে সহজ নয় তা খুব ভালো করেই জানেন সায়ন্তিকার বাবা প্রদীপবাবু এবং মা উমাদেবী। এহেন অবস্থায় মধ্যেও পড়ুয়াদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর চালু করা প্রকল্পগুলি যেন আশার আলো দেখায় তাঁদের।
এতটুকু বয়সে ছোট্ট সায়ন্তিকাও যেন মর্মে মর্মে অনুভব করেছে সেই কথা। তার মতে কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী, শিক্ষাশ্রী, ঐক্যশ্রী প্রভৃতি প্রকল্পগুলি বদলে দিয়েছে বাংলার ছাত্র ছাত্রীদের জীবন। সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে সুদূর মালদা থেকে কলকাতা পাড়ি দেয় সে। সঙ্গে ছিল আমসত্ত্ব, আচার। আজই স্বপ্নপূরণ হল তার।