শুনানির আগেই কিভাবে ‘ফাঁস’ হল রায়! তাজ্জব প্রশাসন! রেগে আগুন মমতা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সরকারি জমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে! এই নিয়ে একাধিকবার উষ্মা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর ঘুঘুর বাসা! একদা মুখ্যমন্ত্রী নিজে এই মন্তব্য করেছিলেন। এবার সামনে আসছে আরও মারাত্মক অভিযোগ! মৃত ব্যক্তিদের নাম ভোটার লিস্টে তুলে দেওয়ার অভিযোগ কানে আসতেই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। জানা যাচ্ছে, তাঁর এহেন কড়া মনোভাবের পরেই পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন।

  • জমি নিয়ে দুর্নীতি! বেজায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)

জানা যাচ্ছে, ওল্ড মালদহের মঙ্গলবাড়ির বাসিন্দা ফারুক হোসেন। তিনি অভিযোগ করেন, মিউটেশন করে তাঁদের জমি (Land) অন্য লোককে পাইয়ে দিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছিল একটি চক্র। এই নিয়ে জেলাশাসক এবং জেলা ভূমি রাজস্ব আধিকারিকের দ্বারস্থ হন তিনি। তাঁদের কাছে নালিশ জানান। তবে এসবের মাঝেই মিউটেশন মামলা শুরু হয়ে যায়।

তাজ্জব করা বিষয় হল, সেই মামলার শুনানির ৪ দিন আগেই রায় ‘ফাঁস’ হয়ে যায়। খোদ জেলা প্রশাসনের কর্তারাও এই বিষয়ে অবাক হয়ে গিয়েছেন বলে খবর। অভিযোগ, বিপ্লব মণ্ডল নামে ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিকের মদতে জমির নথি জাল করে তার মালিকানা বদলে দেওয়া হয়। দফতরে বসেই ওই আধিকারিক ২০ লক্ষ টাকা ঘুষ দাবি করেন বলেও অভিযোগ।

আরও পড়ুনঃ বৃন্দা অতীত! এবার আরজি করের নির্যাতিতার পরিবারের হয়ে লড়বেন এই হেভিওয়েট আইনজীবী

রিপোর্ট বলছে, ইতিমধ্যেই ওল্ড মালদহের ওই বিএলআরও-র বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য বেশ কয়েকটি ধারায় পুলিশ মামলা রুজু করেছে। মালদহের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদেও (Murshidabad) জমি সংক্রান্ত বিষয়ে উত্তেজনা ছড়ায় বলে খবর। জানা যাচ্ছে, ওই জেলায় জমির রেকর্ডকে কেন্দ্র করে বিএলআরও অফিসে বিক্ষোভ দেখানো হয়।

বেলডাঙার শক্তিপুরেও বিএলআরও-র বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে। ৩ লক্ষ টাকার পরিবর্তে একজনের জমি অন্যের নামে করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ভোটার লিস্টে মৃত ব্যক্তিদের নাম ঢোকানো! সেই সঙ্গেই জমি নিয়ে একাধিক জালিয়াতির অভিযোগ। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বেশ ক্ষুব্ধ।

Mamata Banerjee

সম্প্রতি এই নিয়ে মমতা (Mamata Banerjee) বলেন, ‘আমার কাছে খবর রয়েছে, স্থানীয়রা বলা সত্ত্বেও বহু এলাকায় বিএলওরা ভোটার তালিকায় মৃত ব্যক্তির নাম রেখে দিয়েছেন। অনেকে দীর্ঘদিন আগে এলাকা ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে গিয়েছেন। তাঁদের নামও রেখে দেওয়া হয়েছে। বিএলও-রা এটা কাদের স্বার্থে করছেন?’

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর