বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের একের পর এক দুর্নীতির (Scam) তদন্তে আটঘাট বেঁধে ময়দানে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সম্প্রতি আরও বেড়েছে গোয়েন্দাদের তৎপরতা। দুদিন আগেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। আর এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতেই এবার কলকাতায় (Kolkata) ইডি ডিরেক্টর (ED Director) সঞ্জয় কুমার মিশ্র।
সূত্রের খবর, বঙ্গের নিয়োগ দুর্নীতি মামলা থেকে শুরু করে কয়লাকাণ্ড, গরু পাচার মামলা সহ একাধিক তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে সমস্ত নতুন অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ডিরেক্টর। কীভাবে, কোন পক্রিয়ায় তদন্ত প্রক্রিয়া চলবে সে বিষয় নিয়েই আলোচনা হবে। পাশাপাশি বেশ কিছু গাইডলাইন দেওয়া হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বর মাসে নিয়ম বদলে তৃতীয়বারের জন্য ইডির প্রধান হিসাবে এই সঞ্জয় কুমার মিশ্রর কাজের মেয়াদ আরও ১ বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছে। দুর্নীতি ইস্যুতে উত্তাল বঙ্গে হঠাৎ ডিরেক্টরের আসায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছে।
গতকাল রাতেই বিমানে চেপে কলকাতায় আসেন তিনি। আজ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের ED দফতরে এসে পৌঁছন। সূত্রের খবর, রাজ্যের একাধিক দুর্নীতির কিনারা কোন পথে হবে পাশাপাশি দুর্নীতির শিকড় কত গভীর অবধি বিস্তৃত সেই নিয়ে নগরীতে শীর্ষ ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন ডিরেক্টর।
প্রসঙ্গত, ‘কালীঘাটের কাকু’কে গ্রেফতারির পর একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে বলে দাবি ইডির। জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন সুজয়কৃষ্ণর কাছে নিয়োগ দুর্নীতির পিছনে কোনও প্রভাবশালীর মাথা রয়েছে কি না তা বারংবার জানতে চাওয়া হলেও বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান। পাশাপাশি সুজয়কৃষ্ণের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে তার থেকেও বেশ কিছু তথ্যপ্রমাণ ইডির হাতে এসেছিল। সেই নিয়ে প্রশ্ন করা হলেও কোনো উত্তর মেলেনি বলেই জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে ইডি সূত্রে দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গেও সুজয়কৃষ্ণের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসই ছিল নিয়োগ দুর্নীতি, তথা চাকরি বিক্রির আসল জায়গা! রিমান্ড লেটারে এমনটাও ইডি দাবি করেছে। এখন এসব তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তদন্ত কোন দিকে যায় সেটাই দেখার। পাশাপাশি শনিবার কলকাতাতেই আয়কর দফতর সহ একাধিক দফতরের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গেও ইডি ডিরেক্টর বৈঠক করবেন বলে সূত্রের খবর।