বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এবছর উচ্চমাধ্যমিকে করতে পারেনি পাশ। পরবর্তীকালে পাশ করানোর দাবিতে আন্দোলনে সামিল হয় কিন্তু সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হতে শেষপর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নিল মালদহের এক স্কুলছাত্রী। উচ্চ মাধ্যমিকে পাশ করতে না পারার কারণে শেষপর্যন্ত গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় শম্পা হালদার নামে ওই ছাত্রী। পুলিশের প্রাথমিক অনুমানে এই তথ্যই বর্তমানে উঠে এসেছে। সম্পূর্ণ ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ঘটনার কেন্দ্রস্থল মালদার হবিবপুর থানার ডুবাপাড়া এলাকা। জানা গিয়েছে, শম্পা হালদার নামে 17 বছর বয়সী ওই কিশোরী হবিবপুরের আরএন রায় গার্লস স্কুলে পড়াশোনা করত। এবছর স্কুলের বাকি 179 জন পরীক্ষার্থীদের মতো সেও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়। তবে সূত্রের খবর, স্কুল থেকে পাশ করা পড়ুয়ার সংখ্যা মোটে 80। এক্ষেত্রে বাকি 100 জন স্কুলছাত্রী পাশ করতে অক্ষম হয়! শম্পা হালদারও ইংরেজিতে ফেল করে বলে জানা গিয়েছে।
পরবর্তীতে সকলকে পাশ করানোর দাবিতে মালদহে রাজ্য সড়ক থেকে শুরু করে জেলা শিক্ষা দপ্তর পর্যন্ত অবরোধ করে সকল ছাত্রীরা। সেই বিক্ষোভেই উপস্থিত ছিল শম্পা। তবে শেষ পর্যন্ত কোনো উপায় না খুঁজে পেয়ে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় বলে পুলিশের অনুমান।
সম্পূর্ণ ঘটনা প্রসঙ্গে মৃতার বাবা জানান, “পরীক্ষায় পাশ করতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়ে ও। এরপরে আমাদের অলক্ষ্যেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।” এই ঘটনায় পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, “প্রাথমিক তদন্তে আমাদের অনুমান, পরীক্ষায় ফেল করার কারণে ওই ছাত্রী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। তবে আমরা সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্ত শুরু করে দিয়েছি। আপাতত মৃতদেহকে ময়না তদন্তে পাঠানো হচ্ছে। আমরা সবটাই খতিয়ে দেখছি।”