বাংলাহান্ট ডেস্ক : শিক্ষকের অভাবে ফের বন্ধের মুখে শিক্ষা কেন্দ্র। নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। অবসর নিয়েছেন পুরনো শিক্ষকরা। এই অবস্থায় অথৈ জলে পায়রাটুঙি এমএসকের ভবিষ্যৎ। এই শিক্ষা কেন্দ্রে বর্তমানে রয়েছেন একজন শিক্ষক। মাকড়দহ-২ পঞ্চায়েতের পায়রাটুঙি মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র শিক্ষকের অভাবে বন্ধের মুখে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, সরকার শিক্ষক নিয়োগ না করে বন্ধ করে দিতে চাইছে এই শিক্ষা কেন্দ্রটি। হাওড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (পঞ্চায়েত) সুদীপ ঘোষ বলছেন, ‘‘আশা করছি, ওই শিক্ষা কেন্দ্র বন্ধ হবে না। আমরা অনেক জায়গায় সংলগ্ন হাই স্কুলের শিক্ষকদের এই কেন্দ্রগুলির সঙ্গে জুড়ে দিচ্ছি। তাঁরাই এসে পড়াচ্ছেন। মাকড়দহের এই শিক্ষাকেন্দ্রের জন্যও তা করার চেষ্টা হচ্ছে।’’
আরোও পড়ুন : শিয়ালদা লাইনে ট্রেন বাতিল নিয়ে চিন্তা নেই! তবে দুর্ভোগ পোহাতে হবে হাওড়ার যাত্রীদের, বড় আপডেট রেলের
বাম আমলে এই মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্র উদ্বোধন হয় ২০০৩ সালে। প্রথমে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানো হত এই শিক্ষা কেন্দ্রে। সেই সময় 6 জন শিক্ষক ছিলেন এই শিক্ষা কেন্দ্রে। প্রায় ২৮০ জন পড়ুয়া ছিলেন। পরবর্তীকালে বদলে যায় নিয়োগ পদ্ধতি। তাই নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ হয়নি এই ধরনের শিক্ষা কেন্দ্রে।
আরোও পড়ুন : রাজনীতি অতীত! খেলার মাঠকেই ধ্যান জ্ঞান করতে ইচ্ছুক গৌতম গম্ভীর, বড় ঘোষণা KKR মেন্টরের
এই শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষকরা একে একে অবসর নিতে শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। তারপর থেকে কমতে কমতে বর্তমানে শিক্ষকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে একজনে। মাত্র একজন শিক্ষকের পক্ষে গোটা শিক্ষা কেন্দ্র চালানো কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন স্কুল খোলেনা নিয়ম মত। বর্তমানে এই শিক্ষা কেন্দ্রে পড়ুয়ার সংখ্যা মাত্র ১০।
এক স্থানীয় বাসিন্দা জানাচ্ছেন, ‘‘শিক্ষক না থাকলে পড়ুয়া বাড়বেই বা কী করে? তাই পড়ুয়াদের অনেকেই ওই স্কুলে আর পাঠাতে চান না। তবে শিক্ষক এলে পড়ুয়াও বাড়বে।’’ এক পড়ুয়ার অভিভাবক বলেছেন, ‘‘এটাকে অন্তত মাধ্যমিকস্তরে উন্নীত করলে পড়ুয়ারা বাড়বে। না হলে অষ্টম শ্রেণির পরে পড়ুয়াদের অন্যত্র ভর্তি হতে সমস্যা হয়।’’
জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় কাউন্সিলের চেয়ারম্যান কৃষ্ণ ঘোষ জানিয়েছেন, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা রয়েছে এমএসকে বা মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রগুলিতে। যেসব জায়গায় আগে পর্যাপ্ত স্কুল ছিল না, সেই সব জায়গায় এই ধরনের এমএসকে বা মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রগুলি খোলা হয়েছিল। তখন শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ বিধি নিষেধ ছিল না। তবে বর্তমান বিধি নিষেধ মেনে সেখানে শিক্ষক নিয়োগ কার্যত অসম্ভব।