বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্যে একের পর এক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ উঠে আসছে। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে যখন তোলপাড় শুরু হয়েছে বাংলাজুড়ে ঠিক তখনই প্রকাশ্যে এসেছে শিক্ষাকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে কারচুপির ঘটনাও। জানা গিয়েছে, OMR শিটে মেলেনি এক নম্বরও, কিন্তু তারা চাকরি পেয়ে গিয়েছে। আর তারপরেই অনিয়মে চাকরি পাওয়া ভুয়ো শিক্ষাকর্মীদের তথ্য কলকাতা হাইকোর্টে তুলে ধরে সিবিআই।
আর তারপরেই ‘ঝুলি থেকে বিড়াল’ বেরিয়ে আসার মত একের পর এক শিক্ষাকর্মীর নামের তালিকা প্রকাশ্যে চলে আসে। তিনটি হার্ডডিস্ক ও কমিশনের ডেটাবেসে বিস্তর কারচুপির প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় এই সংস্থা। শূন্য পেয়ে চাকরির মত সর্বনাশা ঘটনার কথা অবশ্য ইতিমধ্যেই স্বীকার করেও নেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে।
সূত্রের খবর, ১০০ জনের মধ্যে ৯৪ জনের ওএমআর শিটে প্রাপ্ত নম্বর শূন্য। কমিশনের সার্ভারে সেটাই হয়ে দাঁড়াচ্ছে ৪৩। অন্যদিকে, বাকি ৬ জনের মধ্যে ৫ জন পেয়েছেন ১ নম্বর করে, কমিশনের সার্ভারে সেটাও ৪৩। ফলে, গ্রুপ ডি নিয়োগের ক্ষেত্রে কমিশনের তথ্যেই বেনজির ‘দুর্নীতি’ প্রকাশ্যে এসেছে।
এদিকে, ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের তরফে নির্দেশ আসার পরেই এসএসসি প্রকাশ্যে এসেছে সেই ১০০ জনের নামের তালিকা। তাতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, বিতর্কিত ১০০ জনের মধ্যে ৫০ জনই নিয়োগের সুপারিশপত্র পেয়ে গিয়েছেন। অন্যদিকে, বাকী ৫০ জন রয়েছেন ওয়েটিং লিস্টে। ওয়েটিং লিস্টে থাকা অধিকাংশকেই সুপারিশপত্র দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছিল বলেও কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।