নম্বর বিভাজনে বদল, প্রকাশ্যে নিয়োগের নতুন বিধি! চাকরিহারা শিক্ষকদের কতটা সুবিধা হবে?

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সুপ্রিম (Supreme Court) নির্দেশ মতো ফের নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। শুক্রবারই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। তার আগে এসএসসির (School Service Commission) শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার নতুন বিধি প্রকাশিত হল। সেখানে দেখা গিয়েছে, নম্বর বিভাজনে বেশ কিছু বদল এসেছে। লিখিত পরীক্ষার নম্বর বাড়ানো হয়েছে। সেই সঙ্গেই শিক্ষকতার পূর্ব অভিজ্ঞতা ও চাকরিপ্রার্থীর ক্লাস নেওয়ার দক্ষতার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

শুরু হচ্ছে এসএসসির (School Service Commission) নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তি সামনে এসেছে। জানানো হয়েছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারির হিসেবে ৪০ বছর বয়স অবধি চাকরির জন্য আবেদন জানাতে পারবেন প্রার্থীরা। তফশিলি জাতি, জনজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির প্রার্থীদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (Government of West Bengal) নিয়ম অনুযায়ী বয়সের ঊর্ধ্বসীমায় ছাড় দেওয়া হবে।

নতুন নিয়োগ পরীক্ষায় নম্বর বিভাজনে বেশ কিছু বদল এসেছে। আগে ৫৫ নম্বরের লিখিত নেওয়া হতো, তবে এখন সেটি বাড়িয়ে ৬০ করা হয়েছে। শিক্ষাগত যোগ্যতার ওপর আগে সর্বাধিক ৩৫ নম্বর ছিল, এখন সেটিকে কমিয়ে সর্বোচ্চ ১০ নম্বর করা হয়েছে। ইন্টারভিউয়ের নম্বরে কোনও বদল আসেনি। এখনও সেটি সর্বাধিক ১০-ই রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ সুপ্রিম নির্দেশে মিলবে বকেয়া DA, মামলার প্রভাব পড়বে ষষ্ঠ পে কমিশনেও? সরকারি কর্মীদের জন্য বড় আপডেট

এর পাশাপাশি শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার ওপর সর্বাধিক ১০ নম্বর ও ‘লেকচার ডেমোস্ট্রেশন’এর জন্য সর্বাধিক ১০ নম্বর দেওয়া হবে। এই দু’টি বিভাগই নতুন যুক্ত হয়েছে। এর আগে ছিল না।

নতুন বিধি অনুযায়ী, প্রথম কাউন্সেলিংয়ের পর থেকে ১ বছর অবধি প্যানেল ও ওয়েটিং লিস্টের মেয়াদ থাকবে। কিন্তু স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) চাইলে রাজ্যের আগাম অনুমতি নিয়ে সেই সময়সীমা আরও ৬ মাস অবধি বাড়াতে পারে।

school service commission 2

এছাড়া নয়া পরীক্ষাবিধি অনুসারে, প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পর ২ বছর চাকরিপ্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। এরপর সেগুলি নষ্ট করা যেতে পারে। কিন্তু উত্তরপত্রের স্ক্যান কপি প্যানেলের মেয়াদ শেষের ১০ বছর অবধি সংরক্ষণ করতে হবে।

এসএসসির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার (Teacher Recruitment) আগে প্রকাশিত এই নতুন বিধি নিয়ে মুখ খুলেছেন বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘নিয়োগের জন্য যে নিয়োগ বিধি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে আগের তুলনায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বদল আনা হয়েছে। এতে ‘দাগি’ নন, এমন চাকরিহারাদের খানিকটা সুবিধা হবে ঠিকই। তবে যারা নতুন পরীক্ষায় বসছেন, তাঁরা অসন্তুষ্ট হতে পারেন’।

উল্লেখ্য, দুর্নীতির কারণে ২০১৬ সালের এসএসসির (School Service Commission) গোটা প্যানেল বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গেই নতুন করে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সেই অনুযায়ী নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। তার আগে নতুন বিধি প্রকাশ করে নম্বর বিভাজন, উত্তরপত্র সংরক্ষণ সহ একাধিক বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হল।

Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

X