রোদ্দুর রায়ের বিকৃত রবীন্দ্র সংগীত স্কুলের ভিতরই গাইল পড়ুয়ারা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আবারো বিতর্কে রোদ্দুর রায়ের বিকৃত রবীন্দ্র সংগীত। এবার অশ্লীল শব্দ যুক্ত ‘যেতে যেতে পথে’ গাইল স্কুল পড়ুয়ারা। বারাসাত মহাত্মা গান্ধী মেমোরিয়াল হাই স্কুলের ছাত্ররা ক্লাসরুমেই গাইল এই গান।  গত ৪ মার্চ স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য একাদশ শ্রেণীর ছাত্রদের রেজিষ্ট্রেশন করা হচ্ছিল। ফলে ফাঁকা ক্লাসে একাদশ শ্রেণীর ছাত্ররা এই গানটি করেছিল। পরে সেটি ভাইরাল হয়।

বারাসত মহাত্মা গান্ধী মেমোরিয়াল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক এদিন, ‘জানান ঘটনাটির কথা তিনি শুনেছেন। বিদ্যালয় খুললেই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বারাসতের বিধায়ক ও অভিনেতা চিরঞ্জিত আজ দুপুরে সোচ্চার হন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার বিরুদ্ধে৷ তিনি যে সময় রবীন্দ্রভারতীর ঘটনার নিন্দা করছেন, ঠিক সেই সময়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় শুরু হয়ে যায় বারাসতের এই প্রসিদ্ধ বিদ্যালয়ের ছাত্রদের বিকৃত ও অশ্লীল ‘কোরাস’ নিয়ে।

unnamed 1 4

বারাসাত মহাত্মা গান্ধী মেমোরিয়াল হাই স্কুল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অন্যতম সেরা স্কুল। দেশ – বিদেশের নানা স্থানে সুনামের সাথে কর্মরত এই স্কুলের প্রাক্তনীরা।  প্রতিবছরই মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকে নজরকাড়া রেজাল্ট হয় মহাত্মা গান্ধী মেমোরিয়াল হাই স্কুল থেকে। পাশাপাশি রাজ্য ও জাতীয় স্তরের পরীক্ষায়ও এই স্কুলের সুনাম রয়েছে।

কিছুদিন আগেই বাহারি চুলের ছাঁট থাকলে দেওয়া হবে না অ্যাডমিট, সাফ জানিয়ে দিয়েছিল স্কুল। যার জেরে ছাত্রদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ।   বারাসাত মহাত্মা গান্ধী মেমোরিয়াল হাই স্কুলের তরফ থেকে একাধিকবার ছাত্রদের সতর্ক করা হয়েছিল । কিন্তু তার পরও চুলের ছাঁট না বদলানোয় চরম সিদ্ধান্ত নেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তাই এই বাহারি চুলের ছাত্রদের পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড আটকে দিলেন শিক্ষকরা।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক শেখ আলি আহসান জানিয়ে দিয়েছেন,“স্কুলের নিয়মাবলিতে স্পষ্ট বলা রয়েছে এধরনের আচরণ বরদাস্ত করা হবে না। নিয়মিত ক্লাসেও এই অনুশাসন মানতে বলা হয়। এধরনের চুলের ছাঁট খুবই দৃষ্টিকটু। অনেকবার বলার পরও এই ছাত্ররা না শোনার কারণে এদিন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”


সম্পর্কিত খবর