বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মঙ্গলবার সকাল থেকেই নববর্ষের আনন্দে মেতেছে বাঙালি। কিন্তু সেই খুশিই নিমেষের মধ্যে শোকে পরিণত হল! স্কুল শিক্ষকের (School Teacher) আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে কুলতলি থানা অঞ্চলের মেরিগঞ্জ ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তেঁতুলবেরিয়া গ্রামে। শিক্ষক প্রণব নাইয়ার মৃত্যুতে বিষাদের ছায়া গোটা এলাকায়।
এসএসসি চাকরি বাতিল আবহেই চরম সিদ্ধান্ত স্কুল শিক্ষকের (School Teacher)!
মঙ্গলবার সকালে তেঁতুলবেরিয়া গ্রামে প্রণবের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। জয়নগরে টি এস সনাতন হাইস্কুলে শিক্ষকতা করতেন তিনি। জানা যাচ্ছে, প্রয়াত স্কুল শিক্ষকের ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে। সেখানে লেখা, তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।
সূত্র উদ্ধৃত করে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ২০১২ সালে চাকরি পেয়েছিলেন প্রণব নাইয়া। নতুন বাড়ি তৈরির কাজ চলছিল। বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হননি ওই স্কুল শিক্ষক (School Teacher)। পরিবারের সদস্যদের দাবি, কিছুদিন ধরে দুশ্চিন্তায় ছিলেন প্রণব। ফোনের মধ্যেই কার্যত ডুবে থাকতেন। এসবের মধ্যেই আচমকা এই ঘটনা ঘটায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে নাইয়া পরিবার সহ সমগ্র এলাকায়।
আরও পড়ুনঃ ‘ইতিহাস বিকৃত করছেন মমতা’! পয়লা বৈশাখকে ‘রাজ্য দিবস’ হিসেবে চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ সুকান্তর
এই বিষয়ে প্রয়াত স্কুল শিক্ষকের পিতা সুভাষচন্দ্র নাইয়া বলেন, ‘আমার তো একটাই ছেলে। সারাক্ষণ তো ফোন ঘাঁটত। চাকরির বিষয়ে সব দেখছিল, শুনছিল। ওসব নিয়েই চিন্তা করছিল। আমি বলি, চাকরিটা যাক, তারপর তো ভাববি। এখন এসব কেন ভাবছিস? ওর কোনও দেনাও ছিল না। তা সত্ত্বেও এই কাণ্ড করে ফেলল’।
জানা যাচ্ছে, এদিন সকালে খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে হাজির হয় কুলতলি থানার পুলিশ। প্রণবের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শিক্ষকের (Teacher) মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দুর্নীতির জেরে ২০১৬ সালের এসএসসির সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। বর্তমানে সেই নিয়ে সরগরম বাংলা। এই আবহেই আত্মঘাতী হলেন এক স্কুল শিক্ষক (School Teacher)। যদিও ২০১২ সালে চাকরি পেয়েছিলেন প্রয়াত প্রণব নাইয়া। সুইসাইড নোটে লেখা, তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। তাহলে কেন এই সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি? ঘনাচ্ছে রহস্য।